দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাইটানিকের কথা শত সহস্র বছর পার হলেও যেনো শেষ হচ্ছে না। এখনও টাইটানিকের নানা কাহিনী উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। এবার উঠে এসেছে টাইটানিকের একটি চিঠির বিষয়। টাইটানিকের এই সর্বশেষ চিঠি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে!
এই চিঠিটি আজকের নয়, সেই ১৯১২ সালে ব্রিটিশ জাহাজ টাইটানিক ডুবে যাবার আগের দিন লেখা। এই সর্বশেষ চিঠিটি রেকর্ড দাম ১২৬ হাজার ডলারে বিক্রি হযেছে বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে।
টাইটানিকের নোটপেপারে লেখা একমাত্র এই চিঠিটি উত্তর আটলান্টিকের পানিতে শত বছর ধরে ডুবে থাকলেও ভালো অবস্থাতেই ছিল। ব্রিটিশ এক নাগরিকের কাছে এটি বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি টেলিফোনে নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।
নিলামদার অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ বলেছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্রিটিশ ক্রেতা ইতিহাসের নানা ধরনের অভিনব সব জিনিস সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করেন।
জানা গেছে, এক শত পাঁচ বছর আগে ১৩ এপ্রিল ১৯১২সালে অর্থাৎ জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের দিন, টাইটানিকের যাত্রী আমেরিকান ব্যবসায়ী অস্কার হলভারসন ওই চিঠিটি লিখেছিলেন তার মাকে উদ্দেশ্য করে।
হলভারসন স্ত্রী ম্যারি নিয়ে সাউদাম্পটন হতে টাইটানিকে উঠেছিলেন। নিউইয়র্কে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। মায়ের কাছে লেখা হলভারসনের চিঠিতে ছিল টাইটানিক এবং যাত্রীদের কিছু বর্ণনাও।
চিঠিটিতে তিনি যেমন লিখেছিলেন, ‘ বিশাল বড় জাহাজ এবং দেখতে রাজকীয় হোটেলের মতোই। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিজন জ্যাকব অ্যাস্টর এবং তার স্ত্রীও রয়েছে আমাদের সঙ্গেই। কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও তিনি দেখতে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই। ডেকের বাইরে তিনি আমাদের সঙ্গেই বসে আছেন।’
টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ফলে যে ১ হাজার ৫শ’ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল, তাদের মধ্যে হলভারসন ছিলেন একজন। জ্যাকব অ্যাস্টর এবং তার স্ত্রীও মারা যান।
তবে ম্যারি হলভারসন বেঁচে যান। তার স্বামী অস্কার হলভারসনের মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তার পকেটে চিঠিটি পাওয়া যায়।
ও্চই ঠিটির মধ্যে এখনও সাগর এবং পানির চিহ্ন রয়েছে। হলভারসনের ওই চিঠি তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নিলামদার অ্যালড্রিজ বলেছেন, ‘সম্ভবত এটিই জাহাজের কোনো যাত্রীর লেখা একমাত্র চিঠি, যা তার মৃত্যুর কারণে পোস্ট না করা হলেও প্রেরকের কাছে পৌঁছে।’