দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেটের গতি নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। কাজের সময় গতি ধীর হওয়ায় বিরক্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। তবে এবার ইন্টারনেটে গতি বাড়ানোর নতুন প্রযুক্তি আসছে। যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
প্রকাশিত একটি খবরে জানা যায়, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই একটি নতুন হার্ডওয়্যার তৈরি করেছেন যা কিনা আপনাকে সর্বক্ষণ একটি উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করে যাবে। যে কারণে ধীর গতির ইন্টারনেটকে হয়তো কিছুদিন পর হয়তো শুধুমাত্র জাদুঘরেই খুঁজে পাবেন!
গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই প্রযুক্তি সত্যিকার অর্থেই কম দামে সুপার-ফাস্ট একটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করবে। এই সংযোগে ব্যবহারকারীরা প্রতি সেকেন্ড ১০,০০০ এমবিপিএস এরও বেশি হারে ডাটা আদান-প্রদান করতে পারবেন!
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সিজার আর্কিলিন্স বলেছেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ চাহিদা মেটানোর জন্য আরও ১০০ গুণ বেশি দ্রুত গতির ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়বে। আল্ট্রা হাই-ডেফিনিশন ভিডিও, অনলাইন গেমিং ও ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এর মতো সেবাগুলোর ক্ষেত্র বৃদ্ধির জন্যেই এই দ্রুত গতির ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে।’
এই গবেষণাটির নেতৃত্বদানকারী আর্কিলিন্স আরও বলেছেন, ‘স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে নতুন সেবাগুলো সক্ষম করার জন্য ৫জি এর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মোবাইল ডিভাইসের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ তখন আমরা ব্যান্ডউইথ এর সীমাবদ্ধতাগুলো খুব সহজেই অনুভব করতে পারবো। আমাদের এই নতুন অপটিক্যাল রিসিভার প্রযুক্তি এই সমস্যার মোকাবেলা করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।’
অপটিক্যাল অ্যাকসেস নেটওয়ার্কগুলোতে ব্যবহারযোগ্য একটি সহজ রিসিভার গড়ে তুলেছেন যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এই রিসিভার গ্রাহকদের সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের ক্ষমতা সর্বাধিক করার জন্য ডাটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কিংবা রঙের আলো ব্যবহার করে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, নতুন এই রিসিভারুগলো অনেক সুবিধা বজায় রাখে। এটি অনেক সহজ, সস্তা ও ছোট। এতে প্রচলিত রিসিভারগুলোতে ব্যবহৃত ডিটেক্টরগুলোর মাত্র এক চতুর্থাংশের প্রয়োজন পড়ে। বেতার যোগাযোগে সংকেত ফেইডিং প্রতিরোধ করার জন্য মূলত ডিজাইন করা ফাইবার অ্যাকসেস নেটওয়ার্কের একটি কোডিং কৌশল গ্রহণ করার মাধ্যমে এই সরলীকরণ অর্জন করা সম্ভব হয়।
জানানো হয়েছে, এই পদ্ধতিতে আপস্ট্রিম ও ডাউনস্ট্রিম উভয় ডাটাগুলোর জন্যই একই অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করার মাধ্যমে অতিরিক্ত খরচ সঞ্চয় করার সুবিধাও রয়েছে। যে কারণে নতুন প্রযুক্তি ইন্টারনেট জগতে আমূল পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।