দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে যাকে দেখছেন সেই নারী প্রতি মাসে খরচ করেন ১৭ লাখ টাকা! এটি কিভাবে সম্ভব? আর এতো টাকা তিনি পানই বা কোথায় থেকে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই প্রতিবেদনটিতে।
তিনি নাকি প্রতিমাসে হাতখরচের জন্য পান ৫ লাখ টাকা। সাজসজ্জা ও প্রসাধনের জন্য পান পৃথকভাবে আরও ১২ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে, এতো টাকা তিনি দু’হাতে উড়ান কিভাবে? তার পরিচয় আসলে কী?
যার জীবন শুরু থেকেই রূপকথার এক মসৃণ তুলতুলে কাঁথায় মোড়ানো গল্পের মতোই। কিশোরী স্যাফরন ড্রেউইট-বারলো এই নারীর নাম। অবশ্য হলিউডের কোনো সিনেমার তারকা তিনি নন। দুই সমকামী বাবা ব্যারি এবং টোনি ড্রেউইট-বারলোর সারোগেটের সন্তান তিনি! জন্ম হতেই মেয়েকে তারা অত্যন্ত আদরে অর্থ-বৈভবে ভরিয়ে রেখেছেন। যে কোনো রকমের উপমা সেটার জন্য প্রযোজ্যই নয়। তার হাতের আংটির দাম ৩ কোটি টাকারও বেশি। এমন খবর দিয়েছে একটি দৈনিক সংবাদপত্র।
জানা যায়, একদিন যে পোশাক তিনি পরেন, সেটি আর পরের বার গায়ে তোলেন না! নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতা এবং ব্যাগ তার জন্য সব সময় বরাদ্দ থাকে।
যদিও আয়েশ করে বসে থাকেন না তিনি। ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন নিজের ব্যবসাও। ত্বকের প্রসাধনীর ব্যবসা শুরু করেছেন ৮ কোটি টাকা মূলধন খাটিয়ে।
১৮ তম জন্মদিনে দুই বাবা মিলে দু’টি মহার্ঘ্য রেঞ্জ রোভার উপহার হিসেবে দিয়েছেন। সেই দুই গাড়ির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। জন্মদিনে বন্ধুদের খাওয়াতে ফ্লোরিডা হতে বিমানে করে স্যাফরন চলে যান ইংল্যান্ডে। ফ্লোরিডায় ২১ বছর না হলে মদ্যপান করা যায় না বলে সেখানে যান স্যাফরন।
তবে এমন বিলাস জীবন স্যাফরন একাই পার করেন না। তার আরও ৫ ভাইবোন একইভাবে জীবন উপভোগ করেন! তৃতীয় বিশ্বের ঘামগন্ধের জীবনের সমান্তরালে এমন জীবনের ছবি সত্যিই এক স্বপ্নের মতোই।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো স্যাফরন ও তার পরিবার একই গ্রহের বাসিন্দা। কিন্তু সব কিছু দেখে মনে হয়, তারা অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা, এক অন্য গ্রহের গল্প এটি। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো গল্প হলেও সত্যি এই ঘটনাটি।