দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য করমুক্ত রাখার কথা এতোদিন বলা হলেও এবার ফেসবুক-ইউটিউব-গুগল করের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল, বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ও ইউটিউব করের আওতায় আসছে। দেশে অনলাইনে এসব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচুর অর্থ আয় করা হচ্ছে অথচ সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। যে কারণে দেশীয় গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় ফেসবুক, ইউটিউব ওগুগলকে করের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই বিষয়ে এনবিআর বলছে যে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনা হবে।
গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
বক্তারা ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলকে করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সভায় নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ইউটিউব-ফেসবুকে অবাধ বিজ্ঞাপনের কারণে রাজস্ব বঞ্চিত হতে হচ্ছে সরকারকে। ইউরোপসহ উন্নতবিশ্ব এমনকি ভারতেও এদের ওপর কর আরোপ করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এটি এখনও করা হয়নি। তারা প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করছে। অথচ সরকার কোনো রাজস্বই পাচ্ছে না। এটি অবশ্যই করের আওতায় আনা উচিত।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে আশা করছি। বাংলাদেশে ইউটিউব ও ফেসবুকের প্লানেস হচ্ছিল এতোদিন। প্লানেসের দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন তাদেরকে করের আওতায় আনা হচ্ছে।