দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুনিয়াজোড়া তথ্য হ্যাক হওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর ফেসবুক নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। তাদের গোপন তথ্য যদি সত্যিই পাচার হয়ে যায় তাহলে তারা কি করবেন? সে প্রশ্ন সকলের। আজ রয়েছে ফেসবুকে তথ্য মুছে ফেলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির খবর দুনিয়াময় প্রকাশের পর হতেই ফেসবুকের ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে জন্ম হয়েছে নতুন নতুন উদ্বেগের। শুরুতে প্রায় ৫ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা অপব্যবহার নিয়ে অভিযোগ উঠে, এই সংখ্যা পরবর্তীতে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮.৭০ কোটি বলে ধারণা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির এমন ধারণা প্রকাশের পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মনে নিজেদের ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে শংকা জেগেছে। এখন কেও যদি উদ্বিগ্ন হয়ে ফেসবুকের কাছে থাকা তার সব তথ্য মুছতে চান, তাহলে তার কী করণীয় সে বিষয়েই আজকের আলোচনা।
আপনি যদি অ্যাকাউন্টটি মুছেই ফেলেন তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আর দৃশ্যমানই থাকবে না। আরেকটি পথ হলো অ্যাকাউন্টটি ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করে দেওয়া। এর মাধ্যমে সাময়িকভাবে এই উদ্বেগ হতে আপনি রেহাই পেতে পারেন। আক্যাউন্ট চালু করলে সব তথ্য আবারও দেখতে পাবেন।
কেও যদি এমন কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন যে ফেসবুক তার সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য উপাত্ত জানে, সেক্ষেত্রে তার জন্য সবকিছু সরিয়ে ফেলাই ‘সর্বোত্তম’ বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় কী করার রয়েছে? ইএ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনেও।
অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা নিয়ে ফেসবুক যে কথাগুলো বলে থাকে সব সময় তা হলো, “আপনি যখন আপনার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেন, অন্যরা সেটি আর ফেসবুকে দেখতে পাবে না। আপনার ছবি, স্ট্যাটাস আপডেট কিংবা ব্যাকআপ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত আপনার পোস্ট করা সবকিছু মুছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে এরপর ৯০ দিন সময়ও লাগতে পারে। আমরা যখন এই তথ্য মুছে দিচ্ছি, তখন ফেইসবুকে অন্য কেও এইসব তথ্য দেখতে পাবেন না।”
বলা হয়েছে, “ফেসবুকে আপনার করা কিছু বিষয় আপনার অ্যাকাউন্টে জমা থাকে না। যেমন: আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরও একজন বন্ধু আপনার কাছ থেকে মেসেজ পেতেও পারেন। আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরও এইসব তথ্য রয়ে যায়।”
মুছে ফেলার এই অনুরোধ জানানোর পর ব্যবহারকারী মত পাল্টে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে চাইতেই পারেন। সে কারণে তথ্যাবলী পুরোপুরি মুছে ফেলতে খানিকটা দেরি করা হয় বলেও জানিয়েছে এই সোশাল জায়ান্টটি। এই মত পাাল্টানোর সময়টি হলো দুই দিন। এই সময়ের মধ্যে কেও লগইন করে আবার মুছে ফেলার ওই অনুরোধটি বাতিলও করতে পারবেন। তবে একবার এই সময় পার হয়ে গেলে ব্যবহারকারীর সব তথ্যই চলে যাবে চিরদিনের জন্য।
এক্ষেত্রে সতর্কতার বিষয় হলো, কেও যদি এই পুরো প্রক্রিয়ায় সব তথ্য মুছে ফেলেন তাহলে ওই অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে না, হারিয়ে যাবে অ্যাকাউন্টটিতে থাকা সব তথ্যই।
আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার। অ্যাকাউন্ট মুছে ফেললেই যে আপনার সব তথ্য ফেসবুক মুছে ফেলবে এমনটি কিন্তু না ভাবাই ভালো। কিছু তথ্য কখনোই মুছে ফেললে না। কোনো না কোনো ডেটাবেসে এগুলো রয়ে যাবেই। তবে ফেসবুক বলছে, ওইসব তথ্য কোনো অ্যাকাউন্টের বা কার, সেই যোগসূত্রগুলো কেবলমাত্র মুছে ফেলা হয়। সে কারণেই সামাজিক মাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট করার পূর্বেই সতর্কতার সঙ্গে পোস্ট করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।