দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তান্ত্রিকদের কথা মতো অনেকেই অনেক কিছু করে থাকে। যেমন ভারতের উত্তরপ্রদেশের তান্ত্রিকের পরামর্শে মোবাইল খেয়ে বিপাকে পড়েছে এক যুবক!
দিন দিন বয়স বাড়ছে। তারপরও পাত্রী জুটছে না। বিয়ের আশায় পাগল হয়ে মারাত্মক এক কাণ্ড করে বসলেন উত্তরপ্রদেশের এক যুবক। বিয়ের চিন্তায় তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে তান্ত্রিকের পরামর্শে নিজের বিপদ তিনি নিজেই ডেকে আনলেন।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের হরদৌয়ের বিলগ্রামের ওই যুবকের নাম অজয় দ্বিবেদী। বিয়ের ফুল ফোটাতে অজয় এক তান্ত্রিকের শরণাপণ্ণ হন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর মতে, ওই তান্ত্রিকের কথা মানতে গিয়ে অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন কুমার জীবন ঘুচাতে উদগ্রীব যুবক অজয় দ্বিবেদী।
জানা গেছে, তিনি দিনের পর দিন ধরে এক এক করে খেয়েছেন নানা ধাতব জিনিসপত্র। তারমধ্যে ছিলো একটি মোবাইল ফোনও! সব কিছুই উদ্ধার হয়েছে। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে বের করেছেন ফোন হতে শুরু করে ফোনের ব্যাটারিও। আরও নানা রকমের ধাতু উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, এক তান্ত্রিক অজয়কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। তার সব অসুখও সারিয়ে তুলবেন। প্রতিশ্রুতি পেয়ে তান্ত্রিকের কথা মতো নিজের মোবাইল ফোন, ফোনের ব্যাটারি, চাবি, ধারালো তার, গ্লাসসহ নানা জিনিসপত্র খেতে শুরু করেন অজয় দ্বিবেদী।
এরপর কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয় তার। এক সময় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তার পরেই চিকিৎসকরা উদ্ধার করলেন পেটের ভিতরে থাকা ওইসব ধাতব সম্পদ। ওইসব উদ্ধারের মাধ্যমে হয়তো শেষ রক্ষা হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও অনেকটাই ভালো আছেন বিয়ে পাগলা অজয় দ্বিবেদী। সংবাদ মাধ্যমকে অজয় দ্বিবেদী বলেছেন, আমার বয়স তো কম হলো না। বুড়া হয়ে কি বিয়ে করবো? তাই তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলাম। তবে তিনি যে এভাবেই আমাকে মেরে ফেলার জোগাড় করবেন তা কখনও ভাবিনি।