দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলা থেকেই অনেকের স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে কি পেশা বেছে নেবেন। কিন্তু ভাগ্য সবার জন্য প্রসন্ন হয় না। তাই এমন কিছু পেশায় জড়িয়ে পড়তে হয় যা সত্যিই উদ্ভট!
ছোট্টবেলা থেকেই অনেক বাবা মা সন্তানদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন। অনেকেই আবার স্বপ্ন দেখে শিল্পী-সাহিত্যিক হবার, অনেকেই আবার একটু রোমাঞ্চকর পেশায় যাবার চিন্তাও করে থাকেন। বড় হয়ে উঠতে উঠতে এসব স্বপ্ন আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিক থাকে না, শেষ পর্যন্ত হয়তো ঠিক যে পেশায় যাবার ইচ্ছে ছিলো তাতে যাওয়া আর হয়ে ওঠে না। তখন তাকে সাধারণ কোনো পেশা মেনে নিতে হয়। তবে পৃথিবীতে রয়েছে একেবারেই উদ্ভট এমন কিছু পেশা যাতে নিয়োজিত হবার স্বপ্ন কেও ভুলেও দেখবে না বোধহয়। আপনি নিজেই একবার ভাবুন, মানুষের ডাক্তার না হয়ে ঘোড়ার দাঁতের ডাক্তার হতে কেমন লাগবে আপনার? জেনে নিন এমনি কিছু অদ্ভুত পেশার কথা।
দুর্গন্ধ বিশারদ হওয়া এক পেশা
গরমে বা দুশ্চিন্তায় ঘেমে আপনার হাতের নিচ থেকে আসছে এক প্রকট দুর্গন্ধ। এই দুর্গন্ধ কতোটা তীব্র হতে পারে? বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ব্যবহার করলেই এই দুর্গন্ধ কতোটা কমে? সেটি নিয়েই কাজ হলো এই দুর্গন্ধ বিশারদ বা “ওডোর জাজ” দের ওপর। অবশ্য বিভিন্ন পারফিউম কিংবা ডিওডোরেন্ট কোম্পানিতে রয়েছে এদের বেশ কদর। মানুষের হাতের নিচে গন্ধ শুঁকেই মূলত তারা জীবিকা অর্জন করেন!
ঘোড়ার ডেন্টিস্ট হওয়া!
আসলেও কিন্তু ঘোড়ার দাঁতের ডাক্তার রয়েছে। এদেরকে “ইকুইন ডেন্টিস্ট” বলা হয়। দাঁত দেখে ঘোড়ার বয়স নির্ণয় করা হতে শুরু করে দাঁতের বিভিন্ন রকমের রোগ সারিয়ে তোলাই এদের কাজ।
মাছ গণনা!
একটা বড় অ্যাকুরিয়ামে কয়টি মাছ রয়েছে? এটা বসে বসে গণনা করার সময় আপনাদের কারও কি রয়েছে? অবশ্যই নেই। এই কাজটি করার দায়িত্ব তাই পড়ে পেশাদার একজন মাছ গণকের ওপরই। তার কাজই হলো মাছ গণনা করা!
পুরুষের অন্তর্বাস ডিজাইনার হওয়া!
পোশাক তৈরি করতে মাঝে-মধ্যেই দর্জিবাড়ি যেতে হয় আমাদেরকে। তখন আমাদের হাত, পা, কোমর ইত্যাদি অঞ্চলের মাপ নিয়ে তা টুকে রাখাই একজন দর্জি মহাশয়ের কাজ। তবে সাধারণ পোশাক না হয়ে যদি সেই পোশাকটি হয় অন্তর্বাস? তাহলে ভাবুন সে সব মানুষের কথা, যারা পুরুষের শরীরে অন্তর্বাস পরিয়ে তা ডিজাইন করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। এমন ডিজাইনার হবার শখ নিশ্চয়ই আপনার নেই!
ডায়নোসোরের ঝাড়ুদার!
ডায়নোসর অর্থাৎ বিভিন্ন মিউজিয়ামে যেসব ডায়নোসরের জীবাশ্ম রাখা রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই অনেক অনেক পুরনো ডাইনোসরের ফসিল। তবে তাই বলে এগুলোর ওপরে ধুলো পড়ে থাকতে দেখলে কী আপনার ভালো লাগবে? ডায়নোসর ঝাড়ুদারের কাজ হলো নিয়মিত ধুলো ঝেড়ে এসব জীবাশ্ম সাফসুতরো করে রাখা। # দেশে বিদেশে অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।