দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কারণ মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকলে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। তবে অনেকেই গুরুত্ব দেন না মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি। তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি টিপস।
মানুষের জীবনে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কারণ মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকলে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। তবে অনেকেই গুরুত্ব দেন না মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি। তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি টিপস।
অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা না করা
আমরা অনেক সময় নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে থাকি। এই কাজটি মোটেও করা যাবে না। অন্যের সঙ্গে নয় নিজের সঙ্গেই নিজেকে তুলনা করতে হবে বা নিজেই নিজের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে হবে। তাহলে বিজয়ী আপনিই হবেন। আপনি নিজেকেই বেশি গুরুত্ব দিন।
ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের খারাপ কোনো কিছু হতে শিখতে আরও উৎসাহী হোন। জয়ের জন্য নয় বরং শেখার জন্যই দিনটিকে আপনি কাজে লাগান।
শেখার জন্য যাওয়া
সামাজিক চক্র খুঁটিয়ে দেখার এখনই সময়। চারপাশে তাকান এবং মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন বিষয়গুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করুন। এতে করে আপনি নিজের দক্ষতা সমৃদ্ধ করতে পারবেন। যেসব ছোট খাট সাফল্য আপনার নিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে না তবে অন্য কেও এটিতে খুশি হন এমন বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটাতে চেষ্টা করুন।
নিজেকেই প্রাধান্য দিন
যে কোনো কাজ বা দায়িত্ব পালনের সময় নিজের আবেগ ও কাজকে গুরুত্ব দিন। লোকজন আসবে ও যাবে তবে আপনি আপনার কাজে ও দায়িত্বে সব সময় স্থির থাকুন। অন্যের আশীর্বাদ হতে স্বনির্ভর হতে শিখুন ও নিজের কোনো লক্ষ্য অর্জনের দিকেই বেশি মনোযোগ দিন।
নিজেকে ছোট না ভাবা
আপনার সাধারণ জীবনযাপনে আপনি ভেতরে ও বাইরে সুন্দর। এটিই আপনি অনুভব করুন। মন ভালো রাখার ক্ষেত্রে আপনি সময় ব্যয় করুন। দেখবেন শীঘ্রই আপনার চিন্তাচেতনার পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভয় কাটানো
ভয় পাওয়া মানুষের একটি সহজাত স্বভাব বলা যায়। তবে নতুন কোনো কিছু করতে গিয়ে কখনও ভয় পাওয়া যাবে না। আপনার ভয়ের কারণ সম্পর্কে আপনি নিজেও সচেতন থাকুন। ভয়গুলো কাটিয়ে উঠতে শিখুন। আত্মসচেতনতাই আপনার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এবং এটি উদ্বিগ্নতার মাত্রাও কমাবে। তাই ঠিক সেভাবেই এগিয়ে যান। মনোভাব ঠিক থাকলে আপনি সফল হবেনই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।