দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার দেড় লাখ আবেদনের মধ্যে রয়েছে ৯ বাংলাদেশীর আবেদন। তারা মঙ্গলগ্রহে যেতে আগ্রহী!
খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলগ্রহে না ফেরার যাত্রায় আবেদন পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মঙ্গলে যাওয়ার আবেদনের শেষ সময় আজ। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে মার্স ওয়ান দফতরে। তাদের মধ্যে এক চিকিৎসক নারীসহ ৯জন বাংলাদেশী রয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। এছাড়া এরমধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ১০৭ জন ভারতীয়। ওয়ানওয়ে ট্রিপে মঙ্গলে গিয়ে বসতি স্থাপনে আগ্রহী তারা।
নেদারল্যান্ডসের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মার্স ওয়ান ২০২৩ সালের মধ্যে মঙ্গলে বসতি স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। শর্ত একটাই, মঙ্গলে বসতি স্থাপনের এ মিশনের যাত্রা ওয়ানওয়ে। অর্থাৎ, মঙ্গল অভিযাত্রীর কেওই ফেরত আসবেন না পৃথিবীতে। মঙ্গলেই তাদের নতুন জগৎ গড়ে নিতে হবে।
আবেদনের দিক থেকে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে এ পর্যন্ত আবেদন ৩৭ হাজার ৮৫২ জনের। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন থেকে আবেদন পড়েছে ১৩ হাজার ১২৪টি। এরপর যথাক্রমে টপ টেনে রয়েছে ব্রাজিল (৮,৮৬০), ভারত (৮,১০৭), রাশিয়া (৭,১৩৮), ব্রিটেন (৬,৯৯৯), মেক্সিকো (৬,৭৭১), কানাডা (৬,৫৯৩), স্পেন (৩,৬২১) এবং ফিলিপাইন (৩,৫১৬ জন)।
মার্স ওয়ান প্রকল্পের ওয়েবসাইট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, আবেদনের দিক থেকে ভারত চতুর্থ অবস্থানে। ১৪০টি দেশ থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, আবেদনকারীর ৯ জন বাংলাদেশী। তাদের একজন ২৪ বছর বয়সী এশাম, রয়েছেন ৪২ বছরের কানাডাপ্রবাসী শরীফ। আরেকজন সাইপ্রাসপ্রবাসী এনায়েত হোসেন (২৫)। আবেদন করেছেন এমডি এনামুল হক (৩১)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেওয়া শারমিনও (২৪) যেতে চান মঙ্গলে। শারমিন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। আবেদন করেছেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রনি (৩১)। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের মধ্যে রয়েছেন মেহেদী মিজান (৩০), জাকারিয়া হাবিব (৩৫) ও হাবিব দালাল (৩৫)।
ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, মার্স ওয়ান ৩০০টি ভৌগোলিক অঞ্চল চিহ্নিত করেছে। দ্বিতীয় রাউন্ড ইন্টারভিউয়ের জন্য সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ১০০ জন আবেদনকারীকে বাছাই করা হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড ইন্টারভিউয়ের পর চূড়ান্তভাবে ২৮ থেকে ৪০ জনকে মিশনের জন্য নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে ২০১৫ সালে।
উল্লেখ্য, মিশনের দুটি রোভার যাত্রা করবে ২০১৮তে এবং কার্গো মিশন ২০২০-এ। মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে প্রথম মানবমানবী যাত্রা করবেন ২০২২ সালে। সূত্র : মার্স ওয়ান, ইন্ডিয়া টুডে।