দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু খাওয়া-দাওয়ায় বদল ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে শরীরচর্চাও দরকার। নিয়ম করে যদি ব্যায়াম করেন, তাহলে সুফল পেতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই শৌচালয়ে গিয়ে অনেকেরই অফিস যেতে দেরি হয়ে যায়। কারণ একটাই- আর তা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। যারা এই সমস্যার শিকার, তাদের এমনিতেই খাবার খেতে হয় মেপে মেপে। তবুও সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না এই ধরনের সমস্যা থেকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগলে অনেক সময় অন্য কোনও রোগের ঝুঁকিও থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যতো দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে, ততোই ভালো। ওষুধ খেয়ে বা সঠিক নিয়ম মেনেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় না। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আরও একটি পথ হলো শরীরচর্চা। যদি নিয়ম করে ব্যায়াম করা যায়, তাহলে সুফল পাওয়া যাবে। তবে কোন ব্যায়ামগুলো করবেন, সেটি জেনে নেওয়াটা জরুরি।
ভুজঙ্গাসন
ভুজঙ্গাসন- হজমের প্রক্রিয়ার জন্য এই আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেট ও বিশেষ করে তলপেটের পেশিগুলোর কর্মক্ষমতা কিংবা শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আসন অত্যন্ত কার্যকরীও হয়ে উঠতে পারে।
বজ্রাসন
পেটের অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে এই আসনটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, এতে হজম প্রক্রিয়ারও সুবিধা হয়। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে বজ্রাসন অত্যন্ত কার্যকরী একটি ব্যায়াম।
হলাসন
পিঠের পেশির শক্তিবৃদ্ধিসহ শরীরের বিভিন্ন পেশির ক্লান্তি মেটানোর ক্ষেত্রে এই আসনটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। হজমের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যারা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের এই আসনটি নিয়মিত অভ্যাস করা দরকার।
ধনুরাসন
যারা গ্যাস বা হজমের সমস্যায় ভোগেন, তারা নিয়মিতভাবে ধনুরাসন অভ্যাস করা উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও এই আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org