দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, সকালে খালি পেটে থাকার অভ্যাস যেমন বিপজ্জনক হতে পারে। ঠিক তেমনি উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাসও মোটেও ভালো নয়।
সারাদিন ধরে কাজ করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে, সকালের নাস্তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সারাদিন শরীরের হাল কেমন থাকবে, তাও অনেকটাই নির্ভর করে সকালে কী খাচ্ছেন তার উপরেই। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, সকালে খালি পেটে থাকার অভ্যাস যেমন বিপজ্জনক হতে পারে। ঠিক তেমনি উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাসও মোটেও ভালো নয়। এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খালি পেটে খাওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যকর হলেও তা পেটের গোলমাল বাঁধাতে পারে।
তাহলে কী ধরনের খাবার খেলে পেটের গন্ডগোল বাধাতে পারে?
সাইট্রাস ফল
লেবু, আঙুর, কিশমিশ কিংবা বেরিজাতীয় ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সেটি আমরা অনেকেই জানি। এই ধরনের ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড থাকে। তাই এগুলো খালি পেটে খেলে হজমের গন্ডগোল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
কফি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই কফি খাওয়া অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। ক্যাফিনজাতীয় পানীয় পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। যা গলা-বুক জ্বালা, অস্বস্তির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তেলমশলা যুক্ত খাবার
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগের রাতের বেঁচে যাওয়া আলুর দম, লুচি খেতে ভালোই লাগে। অতিরিক্ত তেল, মশলা দেওয়া খাবার অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সোডাজাতীয় পানীয়
সোডাজাতীয় পানীয় বা যাকে বলা যায় খাবার হজম করার পানীয় খালি পেটে খেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। পেটে গ্যাস, পেটফাঁপার মতো সমস্যা থাকলে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলা দরকার। আবার কৃত্রিম চিনি দেওয়া পানীয়, রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।
কাঁচা সব্জি
আমরা সবাই জানি শাক-সব্জি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তবে খালি পেটে কাঁচা সব্জি খেলে তা আবার বিপদের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। তার চেয়ে বরং সামান্য ভাপ দিয়ে কিংবা স্যঁতে করে খেলে সব্জি পুষ্টিগুণও অটুট থাকবে। পেটের গন্ডগোলও তখন হবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org