দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেতা বা অভিনেত্রী যেখানে যান সেখানেই যেনো সাংবাদিকরা ওত পেতে থাকেন। ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা। আর তারপর সেগুলো ফাঁস হয় সংবাদ মাধ্যমে।

একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন হৃতিক রোশান। তার পরনে রয়েছে জিন্সের প্যান্ট; গায়ে স্যান্ড গেঞ্জি। তারওপরে পরেছেন শার্ট; যার সবগুলোই বোতাম খোলা। খানিকটা দূরেই দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। তার পরনে রয়েছে পিঙ্ক কালারের মিনি ড্রেস। ঠিক দৌড়ে গিয়ে হৃতিকের হাত ধরেন এই অভিনেত্রী। তারপর কয়েক স্টেপ নেচে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন এই জুটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। প্রিয় তারকা জুটিকে দেখে ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন নেটিজেনরা।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে যে, হৃতিক রোশনের পরবর্তী সিনেমা হলো ‘ওয়ার টু’। এই সিনেমাতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন কিয়ারা আদভানি। তারা বর্তমানে ইতালিতে অবস্থান করছেন। সেখানে রোমান্টিক একটি গানের শুটিং করেছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও স্থিরচিত্র সেখান থেকেই ফাঁস হয়।
মিড-ডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, ইতালির ভেনিসে শুটিং করছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশন এবং কিয়ারা আদভানি। টাস্কানি, নেপলস, লেক কোমো, আমালফি কোস্ট ও সোরেন্টো উপদ্বীপে গানটির দৃশ্যধারণের কাজ হবে বলে জানা যায়। যে গানের শুটিং করছেন সেই গানের সুর করেছেন প্রীতম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মুক্তি পায় ‘ওয়ার’ সিনেমাটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমাটির সিক্যুয়েল।
তবে দ্বিতীয় পার্ট পরিচালনা করছেন অয়ন মুখার্জি। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org