দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। ৭ বছর আগে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম স্টেজ শোতে পারফর্ম করেছিলেন তিনি। আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার মঞ্চ মাতাবেন তিনি।

মালয়েশিয়া, দুবাই, ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে স্টেজ শো’য়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজন ‘বাংলাদেশ উৎসব এবং বৈশাখী মেলা ২০২৫’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করার পাশাপাশি পারফর্ম করবেন এই মডেল-অভিনেত্রী।
এই আয়োজনে অংশ নিতে গত ৩ মে রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন প্রিয়াংকা। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনসন গ্র্যান্ড পার্কে আজ সোমবার (৫ মে) অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজনটি।
ঢাকা ছাড়ার প্রাক্কালে প্রিয়াংকা জামান একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিদেশ যাত্রাটা শুরু হয়েছিল আমার দক্ষিণ কোরিয়া দিয়েই। তারপর আরও বহু দেশে স্টেজ শো করেছি। তবে খুব ইচ্ছা ছিল যেনো আবারও দক্ষিণ কোরিয়ায় শো’তে যেতে পারি। সেই সুযোগটাই এলো এবার।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘যদিও এবারের আয়োজনটা আমার জন্য একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ হলো উপস্থাপনার পাশাপাশি স্টেজ পারফর্মও করতে হবে আমাকে। তাই গত কয়েক দিন উপস্থাপনার প্রস্তুতিতে সময় কেটেছে আমার। আশা করছি যে, সব কিছু সুন্দরভাবেই সম্পন্ন করতে পারবো।’
৫ মে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ৭ মে আবার দেশে ফিরবেন প্রিয়াঙ্কা। তারপর ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শুটিং এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে।
উল্লেখ্য,, প্রিয়াংকা জামানের মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’ এবং মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামি’ নামে ৩টি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষাতে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org