দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ২৫ সেপ্টেম্বর তাদের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে।

শুরু থেকেই গার্ডিয়ানের লক্ষ্য ছিল মানুষের কাছে ইন্স্যুরেন্স সেবাকে সহজ আর বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাঙ্কান্স্যুরেন্স, ডিজিটাল সেবা এবং মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পথপ্রদর্শকের ভূমিকা রেখে আসছে।
স্কয়ার, ব্র্যাক এবং এপেক্সের মতো শীর্ষ কোম্পানির সমর্থন নিয়ে গার্ডিয়ান দেশের মানুষের ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে। আজকে গার্ডিয়ানকে আলাদা করেছে তাদের আধুনিক পণ্য, কঠোর নিয়মনীতির অনুসরণ, ভালো ব্যবস্থাপনা এবং সবচেয়ে বড় কথা- গ্রাহকদের জন্য সহজ এবং নির্ভরযোগ্য সেবা।
গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই ব্যাঙ্কান্স্যুরেন্স, মাইক্রোইন্স্যুরেন্স আর গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স খাতে শীর্ষ স্থানে পৌঁছেছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান, ডিজিটাল সেবা ও গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এই ১২ বছরে যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা কাজে লাগিয়ে আমরা চাই দেশের প্রত্যেক মানুষ যেনো সহজেই ইন্স্যুরেন্স সেবা নিতে পারে।”
প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, শেয়ারহোল্ডার, সহকর্মী এবং অংশীদারদের প্রতি তিনি এ সময় তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার মতে, সবার সহযোগিতা এবং আস্থার ওপর ভিত্তি করেই গার্ডিয়ান বর্তমানে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও এই আস্থা এবং সহযোগিতা গার্ডিয়ানের আরও বড় সাফল্যের পথে অগ্রসর হওয়ার প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org