ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ সমপ্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিশেষ করে সেচকাজ চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ঈশ্বরদীতে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ঈশ্বরদীতে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট চলছে। তেল সংকটে বরোচাষ চরম ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহন মালিকরা প্রযোজনীয় জ্বালানি তেলের জন্য এক পাম্প থেকে অন্য পাম্পে ছুটাছুটি করেও হতাশ হয়ে ফিরে আসছে। টানা হরতাল-অবরোধে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
উত্তরাঞ্জলের নামী-দামী তেলের ডিপো বাঘাবাড়ী থেকে ঈশ্বরদীর দশটি তেল পাম্প নিয়মিত তেল সংগ্রহ করে ব্যবসা করে আসছে। পাশাপাশি তারা স্থানীয় যানবাহনের মালিকদের প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু টানা হরতাল-অবরোধের কারণে তেল আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, তাদের রিজার্ভ তেলের পরিমাণও নিঃশেষের পথে। তেল পাম্প মালিকরা মাঝে মধ্যে কিছু তেল বেচাকেনা করলেও তা প্রযোজনের তুলনায় অনেক কম। ঈশ্বরদীর তেল পাম্পগুলোর মধ্যে মঞ্জু পাম্প, রকিব পাম্প, এ্যানিফিলিং ষ্টেশন,ফেইথ ফিলিং, তামান্না ফিলিং ও মালিথা ফিলিং ষ্টেশনগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি ফিলিং ষ্টেশনের মালিকদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।
সরকার ও বিরোধীদলের কাছে দেশের স্বার্থে তেল মালিকরা জ্বালানি তেলের সরবরাহ হরতাল-অবরোধের আওতামুক্তরাখার দাবি জানিয়ে আসলেও কেও আজ পর্যন্ত তাদের কথা রাখেনি। ফলে তেল পাম্প বন্ধের ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পাশাপাশি তেল নির্ভর যানবাহনও যেকোন সময়ে তেলের সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এদিকে বরোধান আবাদকারীরা ইতোমধ্যে তেল সংকটের কারণে তাদের আবাদ একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছে। তার প্রভাব আগামী বাজেটের উপর গিয়ে পড়বে বলে অনেকে মনে করছেন।
এদিকে হরতাল-অবরোধের মধ্যেও চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা ঝুকিপূর্ণ হলেও স্থানীয় যানবাহন ভুটভুটিতে যাতায়াত করে আসছে। তেল সংকটের ফলে সেই সব যানবাহনও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জ্বালানি তেলের অভাবে ভুটভুটিরমত যানবাহন বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের সমস্যা তীব্রতর হয়ে উঠবে। চাকুরিজীবি ও রোগীদের বহনকারী এই সব যানবাহনের উপর নির্ভরশীল মানুষ উয়ে উঠবে আরো বিক্ষুব্ধ।