দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারের ঘটনায় দেশবাসী যখন উদ্বেলিত। সাভারের ভয়াবহ ও নির্মমতায় দেশবাসী যখন শোকাহত ঠিক তখন আমাদের অর্থমন্ত্রী সাভারের দুর্ঘটনাকে ‘তেমন ভয়াবহ নয়’ বলে মন্তব্য করে চরম সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছেন।
২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য দেশবাসী ভালোভাবে নেয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ‘কতিপয় ব্যক্তি দুর্ঘটনার সময় ভবনের পিলার ধরে নাড়া-চাড়া করার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে।’
এসব সমালোনায় স্বয়ং সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দও সমালোচনা করেন। কিন্তু হঠাৎ করে আবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমন এক মন্তব্য করে সমালোচনার সম্মুখিন হলেন। যে ঘটনায় আড়াই হাজার লোক আহত। শত শত লোক পঙ্গু হয়ে গেছে সারা জীবনের জন্য। প্রায় এক হাজার জীবন গেছে শুধু রুটি-রুজির জন্য, যেখানে ৪/৫ দিন পানিআটকে থেকে কত মানুষ করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেছে অথবা উদ্ধার হয়েছে। সেই মানবিক বিপর্যয়কে কেও এমনভাবে ছোট করতে পারে তা ভাবাও যায় না!
সাভারের ধ্বংসস্তূপে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এপি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেই সঙ্গে সাভার দুর্ঘটনার কারণে গার্মেন্ট শিল্পে যে কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। বর্তমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি সফরে থাকা অর্থমন্ত্রী এপিকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন সাভার দুর্ঘটনা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের কোন ক্ষতি করবে না। তিনি বলেন- বর্তমানের সঙ্কটকে আমি তেমন গুরুতর মনে করি না। এটা একটি দুর্ঘটনা মাত্র। মুহিত বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। এব্যাপারে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মনে করি, এ উদ্যোগ সবাইকে আশ্বস্ত করবে। বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ভেবে তিনি চিন্তিত কিনা জানতে চাইলে এপিকে তিনি বলেন- এ ধরনের দুর্ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ধরনের দুর্ঘটনা সবখানেই ঘটে।
উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল সাভারে ভবন ধসের দুর্ঘটনাকে বিশ্বে গার্মেন্টস কারখানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।