দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাজার হাজার বছর পূর্বে চাপা পড়ে গিয়েছিল এক পৃথিবী। তার উপর জমেগিয়েছিল বরফের স্তর। বরফ গলতেই ধীরে ধীরে দেখা মিললো সেই দুনিয়ার!
সম্প্রতি সাইবেরিয়ায় জেগে উঠেছে এক মহাগহ্বর। যা দেখে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে । স্থানীয় ইয়াকুতিয়ান জনগোষ্ঠি মনে করে ‘বাটাগাইকা’ নামের ওই মহাগহ্বরটি হচ্ছে পাতালে প্রবেশ করার রাস্তা। প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া এবং ২৮০ ফুট গভীর এই গহ্বরটি প্রতিবছর ৩৩ হতে ৯৯ ফুট বাড়ছে।
যে কারণে ভূগর্ভস্ত বরফ গলে বেরিয়ে আসছে প্রায় দু’লক্ষ বছর পুরনো প্রাণিজগতের সেইসব নিদর্শন। ইতিমধ্যেই বাটাগাইকা গহ্বর হতে পাওয়া গেছে প্রাগৈতিহাসিক প্রায় অবিকৃত ম্যামথ এবং ৪ হাজার বছর পুরনো ঘোড়ার জীবাশ্ম!
বিজ্ঞানিকদের ধারণা, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে ভূগর্ভে বরফ গলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে এই বিশাল গহ্বরটি। যে কারণে প্রকাশ্যে এসেছে তুষার যুগে চাপা পড়ে যাওয়া বহু প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর জীবাশ্ম।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, শেষবার প্রায় ১০,০০০ বছর পূর্বে তুষার যুগের শেষে সাইবেরিয়াতে এরকম মহাগহ্বরের সৃষ্টি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং উষ্ণায়নের গবেষণায় ওই গহ্বর হতে জরুরি তথ্য পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন গবেষকরা। তবে এই নিয়ে কিছুটা উদ্বেগও রয়েছে তাদের মধ্যে।
তবে রুশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এমন গহ্বর হতে বহু বছর ধরে চাপা পড়ে থাকা স্মল পক্সের জীবাণুও বেরিয়ে আসতে পারে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা দরকার।