দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘদিন ধরে পেপালের কর্মকাণ্ডের কথা শোনা গেলেও অবশেষে আগামী ১৯ অক্টোবর ‘পেপাল’ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করছে।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা দীর্ঘদিন ধরেই ‘পেপাল’ সেবার জন্য অপেক্ষা করে আসছেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের আশা পূরণ হতে চলেছে। অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন এই প্ল্যাটফর্ম ‘পেপাল’ অবশেষে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে। তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ অক্টোবর। জানা গেছে, বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭ এর দ্বিতীয় দিন ‘পেপাল’ সেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ (৯ অক্টোবর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানিয়েছেন, সোনালী, রূপালী ব্যাংকসহ ৯টি ব্যাংকে ‘পেপাল’ সেবা পাওয়া যাবে। বেশ কিছুদিন ধরেই পেপাল কর্তৃপক্ষ বাজার যাচাইসহ নানা পরীক্ষা চালায়। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথা ভেবেই বাংলাদেশে পুরোপুরি ‘পেপাল’ সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে বাংলাদেশের অগণিত ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হবেন। অপরদিকে দেশে রেমিট্যান্স আসার হারও বাড়বে। সেইসঙ্গে বাড়বে ডিজিটাল ট্রানজেকশন।
জুনাইদ আহমেদ আরও বলেছেন, ‘ডিজিটাল লেনদেন, আমরা ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে এই ধরনের সেবা চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘পেপাল’ চালু হওয়ায় ৯টি ব্যাংকের ১২ হাজার শাখা হতে সেবা পাওয়ার সুযোগ হবে।’
উল্লেখ্য, মার্কিন কোম্পানি ‘পেপাল’ হোল্ডিংস বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করে আসছে। এইটি অনলাইন অর্থ স্থানান্তর এবং প্রচলিত কাগুজে পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে আসছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টারনেট পেমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ফ্রিল্যান্সারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এই ‘পেপাল’।