দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাখাইনে গিয়ে সু চি ‘বিবাদ বন্ধের’ আহ্বান জানালেন! ভাবটা এমন যে রাখাইনে তেমন কিছুই হয়নি। সামান্য বিবাদে জড়িয়েছে রাখাইনরা!
সারাবিশ্ব যখন রাখাইন নিয়ে চিন্তিত তখন ঘরের মধ্যে বসে বসে নানা মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী (এক সময় যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ছিলেন) অং সান সু চি। তবে এবার তার বধোদয় ঘটেছে। তিনি প্রথমমবারের মতো রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী ‘বিবাদ বন্ধের’ আহ্বান জানালেন!
২৫ অাগস্ট রাখাইনের ওই অঞ্চলে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখনও সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মধ্যে আগাম কোনো ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাখাইন রাজ্যের সিটুয়ে হতে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে মংডুর উদ্দেশ্যে রওনা হন সু চি। মংডুতে গিয়ে সড়কপথে রোহিঙ্গাদের এলাকায় যান তিনি। সু চি গাড়ি হতে নেমে রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন।
সু চি শুধু ৩টি বিষয় বলেছেন- এক, তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে। দুই, সরকার তাদের সহায়তা করবে। তিন, নিজেদের মধ্যে বিবাদ করা উচিৎ নয়!
রাখাইন পরিদর্শনকালে সেনা এবং পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০ জন সু চির সফলসঙ্গী ছিলেন। তাদের মধ্যে এক ব্যবসায়ীও ছিলেন, যার ওপর এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিদ্যামান ছিল।
গত মাসে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পুনর্বাসন শুরুর ঘোষণা দেন এবং ধনী ব্যবসায়ীদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এই মিয়ানমার নেত্রী।
মিয়ানমার হতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গা, যাদের রাখাইনে বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের ফিরে নেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এখনও বিষয়টির কোনো কূল-কিনারা দেখা যাচ্ছে না।