দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশ বিপদজনক কাছাকাছি আসার পর গালওয়ানে মুখোমুখি অবস্থান হতে কিছুটা সরে আসছে চীন এবং ভারত।
সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রগুলো হতে জানানো হয়েছে। আপাতত গালওয়ানে সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাছাড়া গোগরা হট স্প্রিং এরিয়াতেও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরের ‘ফিঙ্গার এরিয়া’য় পরিস্থিতির কোনও রকম পরিবর্তন হয়নি।
ভারতীয় সেনার একটি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, গালওয়ানে প্রায় এক থেকে দু’কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চীন সেনা। তবে গালওয়ান নদীর তীরে এখনও পিপলস লিবারেশন আর্মির সাঁজোয়া গাড়ি অবস্থান করছে। ভারতীয় সেনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তারা।
গত ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ এর অদূরে চীনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু ঘটে। চীনের তরফেও প্রায় ৪৫ জন সেনা হতাহত হয় বলে সেনা সূত্রে খবর দেওয়া হয়। এদিন খবরে প্রকাশ হয় যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র অন্দরে ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত ওই এলাকা থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার পিছনে সরেছে চীন সেনারা।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয় যে, গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন ভারতীয় বাহিনীও আগের অবস্থান হতে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে। এনএনআই আরও জানিয়েছে, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গত ২২ এবং ৩০ জুন দুই সেনার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই এই ‘ডিসএনগেজমেন্ট’। রবিবার হতেই চীন সেনার তরফে পিছু হঠা শুরু হয়েছে।
তবে গালওয়ান এবং গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চীন সেনা সরবে কি সরবে না, সে বিষয়ে সন্দিহান প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কারণ সেখানে ফিঙ্গার এরিয়া ৪ হতে ৮-এর মধ্যে একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট, কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করে স্থায়ী ঘাঁটি বানিয়েছে চীন। যে কারণে এলএসি সংলগ্ন এলাকায় টহলদারিতে যেতে পারছে না ভারতীয় সেনারা।
সেই সঙ্গে উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরে দেপাসাং এলাকায় এলএসি পেরিয়ে ঢুকে আসা লালফৌজ এখনও পিছু হটেনি বলেও প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।