দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটগুলো আগামী ৩০ জুন বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। যে কারণে ১ জুলাই হতে এই সেটগুলো বন্ধ হচ্ছে না। এই তথ্য দিয়েছে বিটিআরসি।
এই বিষয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জানা গেছে, আগামী ১ জুলাই হতে অবৈধ মোবাইল ফোন সেট শনাক্ত শুরু করার কথা ছিল বিটিআরসির। তবে কিছু সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই দিন থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্রেক্ষিতে এই তথ্য দিলো প্রতিষ্ঠানটি।
বিটিআরসির কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। যার ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে প্রবেশ করেছে কিংবা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। আমরা এই বিষয়টি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, মূলত আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্যই এটি করা হচ্ছে। সুযোগ দেওয়া হবে বৈধ করার জন্য। সে জন্য সবার কাছে মেসেজও যাবে। কারও মোবাইল ফোন সেট বন্ধ হবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো ব্যাঘাতও ঘটবে না। বিদেশ থেকে কেনা হ্যান্ডসেটগুলোর ক্ষেত্রে বিটিআরসিতে বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে বা করা যাবে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পস্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এইসব মোবাইল সেট শনাক্ত করা হবে। সেজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেমটি ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। বিটিআরসি দেশে এই প্রথমবারের মতো এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেছে।
এই সিস্টেম সম্পর্কে বলা হয়, যখনই কোনো সিমকার্ড হ্যান্ডসেটে প্রবেশ করানো হবে, তখনই এটি বিটিআরসি ডাটাবেসে একটি সংকেত প্রেরণ করবে, যেখানে অনুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর সংরক্ষিত করা থাকবে। হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেসের সঙ্গে মিললে তবেই সিমকার্ডটি চালু হবে।
এই বিষয়ে এ কে এম শহীদুজ্জামান আরও বলেছেন, যদি সক্রিয় সিমকার্ড মোবাইলে প্রবেশের পর বিটিআরসি ডাটাবেসে কোনো রকম হ্যান্ডসেট না পাওয়া যায়, তাহলে সেইক্ষেত্রে বিটিআরসি ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআইকে সাদা তালিকায় সাতদিন রেখে ব্যবহারকারীকে ফোনটির আমদানি কিংবা কেনার আইনি নথি ব্যবহার করে নিবন্ধনের সময় দেবে। যদি কোনো ব্যবহারকারী তার ওই হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করতে চান, তাহলে তাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধনভুক্ত করে নতুন ব্যবহারকারীর নামে বা অধীনে ডাটাবেসে পুনরায় নিবন্ধনও করাতে হবে।
উল্লেখ্য যে, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। এর প্রায় অধিকাংশই আসে চোরাই পথে। যে কারণে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।