দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সরকার সারাদেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত টিকা কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এনআইডি দেখিয়েই এই টিকা নেওয়া যাবে।
আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, ‘এই টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে আরোপিত বিধি-নিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং কোডিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম জোরদারকরণ’ শীর্ষক এক সভা শেষে সংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সরকার টিকা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করবে। আগামী ৭ আগস্ট হতে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হবে। ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বের যে কোনো নাগরিকই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই তাঁকে টিকা দেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলবে। শিল্পপতিরা অনুরোধ করেছিলেন যে, আমরা সেই অনুরোধ গ্রহণ করতে পারছি না। জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকেই টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। আমরা টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করবো। যে টিকা আছে তা দিয়েই শুরু করবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে করোনা রোধ করা যাবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এজন্যই টিকাদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়েও টিকাদানকেন্দ্র খোলা হবে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে পারবেন তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা আরও হাতে এলে ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ৫০ ঊর্ধ্ব বয়স যাদের তাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এজন্য তাদের দ্রুত ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্রে এনআইডি নিয়ে এসে তাদের টিকা নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট হতে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন থাকবে না, তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।