দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাড়ে ৪ দশক আগে ১৯৭০-এর দশকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযান চালিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই অভিযানের জন্য এবার ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী!
প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন।
গতকাল (১ আগস্ট) অকল্যান্ডে আক্রান্ত পরিবার, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই ক্ষমা চান আর্ডার্ন।
বিবিসি এক তথ্যে জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা দেশটিতে অবস্থান করছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্য ডন রেইডস নামে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিবাসীদের ধরে ধরে তখন নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৯৭৪ হতে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। তখন নিউজিল্যান্ডে অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা চলছিল। এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হতে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছিল দেশটির সেই সময়কার সরকার।
জাসিন্দা আর্ডার্ন এর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার সময় কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন। এই সময় জাসিন্দা বলেন, জাতিগতভাবে চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট লোকজনের ওপর চালানো অমানবিক সেই সব অভিযানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। তারা সেই সব ক্ষত এখনও বয়ে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০-এর দশকের অভিবাসন আইনের বৈষম্যমূলক বাস্তবায়নে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লোকজনের ওপর অভিযানের জন্য আজ নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ হতে অকুণ্ঠচিত্তে ক্ষমা চাইছি। ওই আইন বাস্তবায়নের কারণে ডন রেইডস নামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ওই অভিযান এবং এলোপাতাড়ি পুলিশি তল্লাশির জন্য সরকার দুঃখ, অনুশোচনা এবং অনুতাপ প্রকাশ করছে।
দুঃখ প্রকাশের অংশ হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানিক এবং বৃত্তিমূলক স্কলারশিপের ঘোষণাও দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। এছাড়াও সামোয়া, টোঙ্গা, ফিজি এবং টুভালুসহ অন্যান্য দেশের তরুণদের জন্য ১০ লাখ ডলারের লিডারশিপ স্কলারশিপও দেওয়া হবে।
জাসিন্দা আর্ডার্ন বলেছেন, সেই সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ কিংবা অঞ্চলের নন এমন কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের বাড়িতে অভিযান হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয়দের উদ্দেশ্য করে কোনো অভিযান কিংবা নির্বিচারে ধরপাকড়েরও ঘটনাও ঘটেনি।
সেই সময় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বহু অভিবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযান পরিচালনা করা হয়নি বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
এদিকে লোকজনের ওপর এই অমানবিক এবং অন্যায় আচরণের ক্ষত পুষিয়ে দিতে নিউজিল্যান্ড সরকারের চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন টোঙ্গোর রাজকন্যা মেলে সুইলিকুটাপু। তিনি বলেছেন, আর্ডার্নারে এই ক্ষমাপ্রার্থনা মূলত আমাদের সম্প্রদায়ের নতুন সূর্যোদয় বলা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।