দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গল গ্রহে প্রাণসত্তা খুঁজে পাওয়ার আশা কমে আসছে। কারণ প্রাণের সাক্ষী হিসেবে মঙ্গল গ্রহের বায়ুতে যতটা মিথেন উপস্থিত থাকার কথা, তার চেয়ে অনেক কম পাওয়া গেছে সেখানে। সমপ্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে সায়েন্স সাময়িকী।
প্রতিবেদনে নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গবেষণার উদ্দেশ্যে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো রোবট যান কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানকার বায়ুতে মিথেনের উপস্থিতি মাত্র ১.৩ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন)। এর আগে পৃথিবীতে স্থাপিত শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে মঙ্গল থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের পর ২০০৩ সালে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের বায়ুতে প্রায় ১৯ হাজার টন মিথেন আছে। অথচ কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্যানুযায়ী, আগের পরিমাপের তুলনায় ৬ ভাগ কম মিথেন গ্যাস আছে সেখানে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগের পর্যবেক্ষণের ভুল ব্যাখ্যার কারণে হয়তো মঙ্গল গ্রহে মিথেনের উপস্থিতি সম্পর্কে এমন ফল পাওয়া গিয়েছিল।
মিথেনের এই স্বল্পমাত্রার উপস্থিতির ফলে মঙ্গল গ্রহের মাটিতে অণুজীব বা জৈব জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কারণ এগুলোই বায়ুতে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। নাসার গবেষক মাইকেল মেইয়ার বলেন, ‘মিথেন উৎপাদনকারী অণুজীব পাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে।’ কিন্তু এখনই আশা ছাড়ছেন না তিনি। তাঁর মতে, এটা কেবল এক ধরনের অণুজীবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পৃথিবীতে এমন অনেক অণুজীব আছে, যেগুলো মিথেন উৎপন্ন করে না।
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে মঙ্গল গ্রহে বিষুবীয় অঞ্চলে অবতরণ করেছিল কিউরিওসিটি। এটির পাঠানো তথ্যে ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়েছে যে, দূর অতীতে মঙ্গল গ্রহে অণুজীবের অস্তিত্ব ছিল। দুই বছরব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে এখন কিউরিওসিটি এগিয়ে চলেছে গ্রহটির মাউন্ট শার্প বরাবর। এটিই মূলত কিউরিওসিটির লক্ষ্যস্থল। মঙ্গল গ্রহে কখন জীবনের উপযোগী পরিবেশ ছিল, তা এই পর্বতের পাদদেশের পাললিক শিলার স্তরগুলো থেকে হয়তো তা জানা যাবে- এমনই ধারণা বিজ্ঞানীদের। সূত্র : অনলাইন