দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেল, বেশি ঘনত্বের ক্রিম মেখেও ত্বকের সমস্যা সামাল দিতে পারছেন না। কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই যেখানে-সেখানে চুলকাচ্ছে, এমনকি খোসা উঠছে। কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়ে তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেন।
সাধারণত ঠাণ্ডার সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। পানি খাওয়ার প্রবণতাও তখন কমে আসে। যে কারণে শরীরে তো বটেই, ত্বকেও পানির অভাব স্পষ্ট বোঝা যায়। তার উপর শীতে কাঁপুনি থেকে বাঁচতে বার বার চা, কফি খেলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতেই পারে। অনেকেই আবার ঠাণ্ডার ভয়ে গোসল করেন না। যে কারণে ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে। তেল, বেশি ঘনত্বের ক্রিম মেখেও কাজ হচ্ছে না। কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ যেখানে-সেখানে চুলকাচ্ছে দেদারচে। সোয়েটার কিংবা মোটা শীতপোশাক পরলে সমস্যা আরও চরমে ওঠছে। যাদের মধ্যে সোরিয়োসিস ও এগজ়িমার মতো সমস্যা রয়েছে বা যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের আরও অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় প্রসাধনীর মধ্যে থাকা রাসায়নিক ত্বকের এই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে গায়ে ক্রিম কিংবা লোশন না মেখে প্রাকৃতিক কয়েকটি উপাদান মাখতে পারেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল হলো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার। ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে ত্বককে আর্দ্র করে তুলতে সাহায্য করে এই নারকেল তেল। এগজ়িমা, সোরিয়োসিসের মতো ত্বকের সমস্যা থাকলেও এই তেলটি নিরাপদ। তবে নারকেল তেল যেনো ভেজালমুক্ত হয়, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
অ্যালোভেরা জেল
নারকেল তেলের মতোই ত্বকের জন্য নিরাপদ আরও একটি উপাদান হলো এই অ্যালোভেরা জেল। ত্বকের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ারটি। ভিটামিন এ এবং ই’র গুণে ভরপুর অ্যালোভেরার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। তাই ত্বকে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এই উপাদানের জুড়ি নেই।
হলুদ
ত্বকের যে কোনও সমস্যার গোপন সমাধানই হলো এই হলুদ। মুখে চন্দন, বেসন কিংবা নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদের মিশ্রণ বহু কাল হতেই রূপচর্চায় মেয়েদের টোটকা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’ ত্বকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। র্যাশ, ব্রণের সমস্যায় দারুণভাবে কাজ করে এই হলুদ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org