দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা বিশ্বেই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই বিষয়ে বারংবার সতর্ক করছেন আবহবিদরা। এই সময় রাস্তায় থাকলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে আপনাকে। বজ্রপাতের সময় কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন? সেটি আজ জেনে নিন।
এক পশলা বৃষ্টি এই সময়ের তীব্র গরমে স্বস্তি এনে দেয়। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে আসা বজ্রপাত বিপর্যয়ের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। বাজ পড়ে অনেকের মৃত্যুও হয়। অনেকেই বেঁচে গেলেও তাদের পরবর্তী জীবন বিছানাতেই কাটে।
তবে বজ্রপাতের ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন আবহবিদরা। এই সময় রাস্তায় থাকলে খুব সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন? আজ সেটি জেনে নিন।
# বজ্রপাতের সময় অনেকেই বাড়ির বাইরে কিংবা মাঠেই থাকেন। এই ক্ষেত্রে বাড়ি কিংবা কাছাকাছি কোনও ঘরে আশ্রয় নেওয়া সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।
# কাজের কারণে একান্তই খোলা জায়গায় থাকলে, বাজ পড়ার সময় যতোটা সম্ভব নিজেকে সঙ্কুচিত করে কিংবা কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়লে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতে পারে। না শুয়ে যতোটা সম্ভব নিচু হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকলেও বাজের কবল থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
# বজ্রপাতের সময় কখনও গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না।
# বজ্রপাতের সময় কখনওই ফাঁকা মাঠে থাকবেন না।
# কোথাও বজ্রপাত হলে বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা তখন বেশি থাকে। তাই এইসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না।
# বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনও কংক্রিটের ছাউনির নীচে আশ্রয় গ্রহণ করুন। গাড়ির ভিতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা হতে বিরত থাকুন। ওই সময় গাড়ির কাচেও কোনো অবস্থাতেই হাত দেবেন না।
# বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনও পুকুরে সাঁতার কাটতে থাকেন কিংবা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন, তাহলে সেখান থেকে দ্রত সময়ের মধ্যে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী, তাই সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org