দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র কদিন আগে রাস্তায় পিচ করার মতো দাঁতে ফিলিং করিয়ে সেই গর্ত একেবারেই বুজিয়ে ফেলেছেন। তবে যত্ন না করলে এই ফিলিং সহজেই উঠেও যেতে পারে।
ছোট থেকেই চকোলেট, মিষ্টি খেতে ভালো লাগে- এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। যে কারণে দাঁত ক্ষয়ে গিয়ে একেবারে কালো হয়ে গিয়েছে। ঠান্ডা-গরম খাবার খেতে গেলে সে তার উপস্থিতিও তখন জানান দেয়। সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয় গর্ত হয়ে যাওয়া দাঁতগুলো। কিছু খেতে গেলেই খাবারের অংশ সেই গর্তের মধ্যে ঢুকেও যায়। ভালোকরে মুখ না ধুলে তা পচে মুখগহ্বরে দুর্গন্ধও হয়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই রাস্তায় পিচ করার মতো দাঁতে ফিলিং করিয়ে সেই গর্ত একেবারে বুজিয়েও ফেলেছেন। তবে এই ফিলিং তো গর্ত বোজানোর জন্য অস্থায়ী একটি পন্থা। তাই যত্ন না করলে তা আবার সহজেই উঠেও যেতে পারে। দাঁতের চিকিৎসকরা বলেছেন, ফিলিং দীর্ঘ স্থায়ী করতে মুখগহ্বরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে, কী খাচ্ছেন সে দিকেও নজর দেওয়াটা জরুরি।
ফিলিং দীর্ঘস্থায়ী করতে কী খাওয়া বারণ?
# দাঁত ফিলিং করানোর পর যে কোনও শক্ত খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। শক্ত খাবার খেলে অহেতুক দাঁতের উপর চাপও পড়তে পারে। ফিলিং জায়গা মতো বসার পূর্বেই উঠে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে হলে সপ্তাহখানেক শক্ত খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
# প্রায় সবারই বাদাম খেতে ভালো লাগে। অল্প খিদে মেটাতে এই খাবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বাদামে যে পরিমাণ ভালো মানের ফ্যাট রয়েছে তা শরীরের জন্যও বেশ ভালো। তবে দাঁত তো এতো কথা বুঝবে না। সদ্য ফিলিং করা দাঁত দিয়ে বাদাম চিবোতে গেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
# দাঁতে ফিলিং করার পর চকোলেট, চটচটে মিষ্টিজাতীয় যে কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে করে সংক্রমণের ভয় খানিকটা হলেও রুখে দেওয়া যাবে। নতুন করে দাঁতে ক্ষতির আশঙ্কাও তখন থাকে না।
# খুব গরম কিংবা খুব ঠান্ডা কোনও পানীয় খেলে দাঁতের ফিলিং নষ্ট হতে পারে। দাঁতের শিরশিরানিও তখন বেড়ে যেতে পারে।
# সুস্থ থাকতে চিকিৎসকরা প্রতিদিন একটি করে আপেল খেতে বলে থাকেন। তবে দাঁতের ক্ষেত্রে তা একেবারেই উল্টো। বিশেষ করে ফিলিং করানোর পর আপেল, পেয়ারার মতো শক্ত ফল খাওয়া মোটেও উচিত নয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org