দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজেকে ধরা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল ও মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে তৃতীয় সন্তানের মা হলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। তার কন্যাসন্তান এখন নেট দুনিয়ায়।
বিলেতে বসেই প্রিয়তি তার অনুরাগীদের জানিয়েছেনন নিজের মা হওয়ার খবরটি। তার মেয়ের নাম রেখেছেন লাভিশা লাম। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তার পরিবারের নতুন এই সদস্যকে। সামাজিক মাধ্যমে সদ্যজাতের কিছু ছবিও শেয়ার করেন প্রিয়তি। মেয়ের নামও প্রকাশ করেন তিনি। ছবিতে দেখা যায় যে, প্রিয়তির ছেলে আলিফ আবরাজ এবং কন্যা মৌনীরা মীমের হাতে তাদের নতুন ছোট বোন। সেখানে মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত এই মডেল লেখেন যে, ‘পরিচিত হয়ে নেওয়া যাক আমাদের পরিবারের নতুন সদস্য, আলিফ আবরাজ এবং মৌনীরা মীমের ছোট্ট বোন লাভিশা লামের সঙ্গে।’
প্রিয়তির স্বামীর নাম বিবেক। আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করতে গিয়েই দু’জনের পরিচয় ঘটে। আর সেখান থেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। এখন এক ছেলে-দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল প্রিয়তি। তিনি পেশায় একজন পাইলটও। আন্তর্জাতিক বহু প্রতিযোগিতায় তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছিলেন টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ড। ইনটিগ্রিটি ম্যাগাজিন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মডেলরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ‘সেরা’র অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন প্রিয়তি। তিনি আইরিশ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org