দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবার নতুন এক পরিচয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি উপস্থাপকের ভূমিকায় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য বেশ কিছু প্রোগ্রাম নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন এই নায়িকা। যেখানে গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও নিয়ে আসবেন। উপস্থাপকের চেয়ারে বসে একের পর এক প্রশ্ন নিয়ে তাদের উত্তর জানার চেষ্টা করবেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘এতোদিন যারা আমাকে প্রশ্ন করেছেন, এবার আমি তাদেরকে প্রশ্ন করবো। এটা সত্যিই নতুন ধরনের এক অভিজ্ঞতা। আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে একটি করে পর্ব প্রকাশ হবে। এক নতুন পরিচয়ে হাজির হতে যাচ্ছি আমি, তাই আমার নিজেরও এক ধরনের নার্ভাসনেস এবং কৌতূহল সৃষ্টি হচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানে কাদেরকে অতিথি হিসেবে আনবেন, সেটিও জানিয়েছেন, ‘কোটি টাকার কাবিন’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। অপুর ভাষায়, ‘প্রথম ধাপে গণমাধ্যমকর্মী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অতিথি করেছি, তাদের প্রশ্নও করেছি। দারুণ সব প্রশ্নোত্তরের বিষয়টিতে অনেক কিছুই জানা যাবে। দর্শকরাও অনেক আনন্দ পাবেন।’
জানা যায়, ইতিমধ্যেই রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস-এর একটি স্টুডিওতে প্রথম ধাপের সব পর্বের শুটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলে এগুলো প্রকাশ করা হবে। যেখানে দর্শকরা দেখতে পাবেন অপু বিশ্বাসকে নতুন এক পরিচয়ে, নতুনভাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org