দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সতর্ক করার পরও গ্রাহকদের অতিরিক্ত প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোর কারণে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জারিমানা করলো বিটিআরসি।
বিটিআরসির নথি অনুযায়ী দেখা যায়, গ্রাহকদের প্রতিদিন ৩টির বেশি প্রচারমূলক এসএমএস পাঠানোর জন্য প্রতিটি অপারেটরকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা গুণতে হবে।
প্রমোশনাল এসএমএস এর কারণে গ্রাহকরা বিরক্ত হন। তারা বিভিন্ন সময় বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসিতে বিস্তর অভিযোগ করে থাকেন। বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া ও সতর্ক করার পরও তারা নির্দেশনা মানছে না, তারা গ্রাহকদের ৩টির বেশি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠিয়েই যাচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা মানসিক হয়রানির শিকারও হচ্ছেন এবং বিটিআরসির পদক্ষেপ নিয়েও আসছে প্রশ্ন।
ইতিপূর্বে গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে গ্রাহকদের প্রতিদিন ৩টির বেশি এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে গ্রামীণফোনকে প্রথম সতর্ক করে বিটিআরসি। এ বছরের এপ্রিলে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই বছর বাংলালিংককে সতর্ক করা হয় ও এ বছরের মে মাসে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় বিটিআরসি। এছাড়াও একই বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সতর্ক করা হয় রবিকে। পরে নভেম্বরে গ্রাহকদের কাছে প্রতিদিন ৩টির বেশি এসএমএস পাঠানোর ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন প্রমোশনাল এসএমএস বন্ধে গ্রাহকদের সচেতন করছে বিটিআরসি। তারা বলছে যে, মোবাইল অপারেটরদের নিত্যনতুন সেবা সম্পর্কে জানতে প্রমোশনাল এসএমএস কিংবা ক্যাম্পেইন সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এরপরও ক্ষেত্রবিশেষে গ্রাহকের কাছে এইসব বিরক্তিকর বলেও প্রতীয়মান হয়। তাই গ্রাহকরা যেনো এইসব বন্ধ করতে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেবাটি গ্রহণ করেন। প্রমোশনাল এসএমএস না পেতে চাইলে গ্রাহকরা গ্রামীণফোন হতে *১২১*১১০১#, বাংলালিংক হতে *১২১*৮*৬# এবং রবি ও এয়ারটেল হতে *৭# ডায়াল করে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org