দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একাধারে উপস্থাপক, নির্মাতা এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বুলবুল আহমদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু হয়েছে তারই উপস্থাপনায় নতুন এক অনুষ্ঠান ‘ইফতারের রসুইঘর’।

তবে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বেশ বাছবিচার করে থাকেন ঐন্দ্রিলা। ছোটবেলাতেই বিটিভিতে প্রথম উপস্থাপনা করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে রান্নার নানা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলেও বিটিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা হয়ে ওঠেনি। প্রায় দুই দশক পর বিটিভিতে উপস্থাপনা করছেন ঐন্দ্রিলা।
এই অনুষ্ঠানে একজন অতিথিও থাকেন। তারসঙ্গে রান্না নিয়ে গল্প-আড্ডায় দারুণ সময়ও কেটে যায় ঐন্দ্রিলার। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস, আফরোজা সুলতানা এবং এল রুমা।
তবে উপস্থাপনাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ঐন্দ্রিলা। তাই উপস্থাপনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটক প্রযোজনা করেছেন ঐন্দ্রিলা। বেশ কিছু কাজ দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে।
বাবা বুলবুল আহমেদকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে ঐন্দ্রিলা বলেছেন, ‘বাবাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবো বলেই ফিল্ম বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণে বর্তমানে নিজেকে উপযুক্ত মনে করছি, তাই ঘোষণাও দিয়েছি চলচ্চিত্র নির্মাণের। বর্তমানে টেবিলওয়ার্কও চলছে- মূলত এটি রিসার্চ বেইজড কাজ। পারফেক্টলি করতে হলে অনেক সময়ও লাগবে। তারজন্য বুলবুল আহমেদের সময়কার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যারা বেঁচে রয়েছেন, তাদের সঙ্গেও দেখা করবো। পাত্রপাত্রী নির্বাচনেও একটু সময় তো লাগবেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষের দিকে সিনেমার শুটিং শুরু করবো বলে আশা করছি।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org