দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ বিজ্ঞানের চর্চায় রোবট এরই মধ্যে তার জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় রোভার কিউরিওসিটির ব্যবহার রোবটের অবস্থানকে আরো পোক্ত করেছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের এ শাখায় রোবটের ব্যবহার কমার নয়, বরং বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) সম্প্রতি ভবিষ্যতের মহাকাশচারী রোবটেরা কেমন হতে পারে, তার ওপর একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে বিশেষ বিশেষ কাজে পারদর্শী স্বয়ংক্রিয় রোবট ছাড়াও মহাকাশচারীদের সহায়তাকারী সম্ভাব্য রোবট দেখিয়েছে সংস্থাটি। ভিডিওর প্রথমে দেখা গেছে, ভবিষ্যতের রোবট চলার আগে সামনের পথে লেজার রশ্মি মেরে পরখ করে দেখছে পথ ঠিক কতখানি বন্ধুর। মাটিতে পড়ার পর লেজার রশ্মি যেখানে বেশি লাল হবে, সেখানটা অপেক্ষাকৃত বেশি উঁচু-নীচু। ইএসএ’র দেখানো ভবিষ্যতের রোবটগুলো বর্তমানকালের রোবটগুলোর মতো কেবলমাত্র চাকার ওপর নির্ভর করে গড়িয়ে চলবে না। এদের চাকাগুলো এমনভাবে তৈরি করা থাকবে, যেনো প্রয়োজন অনুসারে চাকাগুলো খুলে পা হিসাবে ব্যবহার করা যায়। পায়ে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়া এই চাকাগুলোসমেত রোবটটিকে পতঙ্গের মতোই দেখাবে। রোবটটি প্রতি মুহুর্তে ঠিক কি পরিস্থিতে আছে, তা সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা যাবে পৃথিবীতে এর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে।
এছাড়া পৃথিবী থেকে রোবট নিয়ন্ত্রণ করে পছন্দসই নমুনা সংগ্রহ এবং তা মেপে নেয়া যাবে। এছাড়া মহাকাশে কোনো ভারী বস্তু নিয়ে কোনো মহাকাশযান ল্যান্ড করলে, মহাকাশযান থেকে ভারী বস্তুটি নামানো এবং নির্ধারিত জায়গায় রেখে আসার জন্য থাকবে বিশেষ রোবট। এর পাশাপাশি মহাকাশ স্টেশনের বিদ্যুৎ, পানি, বায়ু প্রভৃতির লাইন এবং তথ্য প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজে পারদর্শী রোবটও প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, মহাকাশে ময়লা বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সাহায্যকারী রোবটও।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) মঙ্গলে তাদের ‘এক্সোমারস’ নামের রোবট পাঠাতে যাচ্ছে। তাই দিন দিন রোবট বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে সংস্থাটি।
ভিডিও দেখুন:
তথ্যসূত্র: গিজম্যাগ