দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ স্মৃতি মানুষকে কাঁদায় – এই কথাটা সবসময় সত্য নয়। স্মৃতি রোমন্থনও হতে পারে মানুষের জীবনের জন্য উপকারী। অতীত স্মৃতি রোমন্থন মানুষকে আশাবাদী এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কম দুঃচিন্তাগ্রস্থ হতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা গেছে, নস্টালজিয়া অর্থ্যাৎ স্মৃতিকাতরতা শুধুমাত্র অতীতকে ঘিরে থাকা স্মৃতিময় আবেগ নয়, বরং ভবিষ্যৎ জীবনে আশাবাদী হতে সাহায্য করবে।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর টিম ওয়াইল্ডসচাট গবেষণায় যুক্ত ছিলেন এবং গবেষণাপত্রটি লিখেন। গবেষণাটি Personality and Social Psychology Bulletin এ প্রকাশ করা হয়।
- একটি গবেষণাতে অংশগ্রহণকারীদের একটি দলকে অতীত স্মৃতিময় ঘটনা মনে করতে বলা হয় এবং সে সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। আরেকদলকে সাধারণ কোন ঘটনা মনে করে সে সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। দুইদলের লেখা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যারা স্মৃতিকাতর ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন তাদের লেখাতে আশাবাদের কথা রয়েছে বেশি কিন্তু যারা সাধারণ ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন তাদের লেখায় আশাবাদের কথা কম।
- আরেকটি গবেষণাতে দুইটি দলের একটিকে নস্টালজিক গান এবং আরেকটিকে সাধারণ গান শুনতে বলা হয়। একই সাথে তাদের সেসব গানের লিরিকও পড়তে দেওয়া হয়। গবেষণার পরে দেখা গেলো যারা নস্টালজিক গান অনুভব করেছেন তারা অধিকাংশই জীবনে প্রচুর আশাবাদী, কিন্তু যারা সাধারণ গান শুনেছেন তারা জীবন সম্পর্কে তুলনামূলক কম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ওয়াইল্ডসচাটের বক্তব্য থেকে জানা যায় – নস্টালজিয়া মানুষের মনে আশার আলো জ্বালাতে সাহায্য করে এবং সেকারণে যে কেউ ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের নিরাশা দূর করতে পারে। অতীতের স্মৃতি মানুষকে নিজের মূল্য সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে জীবনে সুখ খুঁজে পেতে হলে এবং নিজের ভবিষ্যৎ বিষয়ে দুঃচিন্তা না করে আশাবাদী হতে চাইলে পুরাতন স্মৃতি রোমন্থন করা উপকারী।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলি মেইল