দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বগুড়ার আদমদিঘি শাখা সোনালী ব্যাংকে সুড়ঙ্গ করে ভল্ট ভেঙ্গে টাকা চুরির রহস্য এখনও উদ্ঘাটন হয়নি। গঠিত হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।
বগুড়ার আদমদীঘিতে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৩২ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনার রহস্যভেদ এখনও হয়নি। উদ্ধার হয়নি কোনো অর্থও। ঘটনার পর গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত জন্য ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ব্যাংকের ওই শাখা ব্যবস্থাপক ও ক্যাশিয়ারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে ব্যাংকের কার্যক্রম চালু করতে ওই দুই কর্মকর্তাকে গতকাল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।
স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ব্যাংকে ও ভোল্টে সিসি টিভি থাকার কথা থাকলেও কেনো করা হয়নি তা রহস্যবৃত। বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
বগুড়া প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আবদুস সামাদ বলেন, ব্যাংকে যে পরিমাণ টাকা রাখার নিয়ম তার অতিরিক্ত টাকা রাখা হলে সেই দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপককে বহন করতে হয়। ঘটনার পর দেখা যায়, ব্যাংকের ভল্ট ও সিন্দুকে থাকা ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৯৮৪ টাকার মধ্যে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮শ’ টাকা চুরির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাকি ১ লাখ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা ভল্টরুম ও সুড়ঙ্গের মধ্যে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, আদমদীঘি উপজেলা সদরে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় সোনালী ব্যাংকের শাখাটি অবস্থিত। শনিবার বিকেলে আবিষ্ককার করা হয় ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি গেছে। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখে পার্শ্ববর্তী একটি ফার্নিচারের দোকানের কাছ থেকে একটি সুড়ঙ্গ করে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙ্গে এই চুরি করা হয়েছে।