দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যার বিরুদ্ধে বিতর্কের কোনো শেষ নেই সেই বিতর্কিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবার কোলকাতা বিমানবন্দরে রানওয়ের মাঝে থাকা মসজিদ সরানোর দাবি জানিয়েছেন!
কোলকাতা বিমানবন্দরে রানওয়ের মাঝে থাকা মসজিদ অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
গত মঙ্গলবার রাতে টুইট বার্তায় তসলিমা দাবি করেছেন যে, কোলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ের মাঝে মসজিদ থাকার কারণে বিমান উড়তে ও অবতরণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই পুলিশের উচিত এটি দ্রুত সরিয়ে দেওয়া।
কোলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে থেকে পুলিশের এক পাথর সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা হতে এমন দাবি জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। সরিয়ে ফেলা ওই পাথরটি আকৃতিতে দেবতাসুলভ। ওই পাথরে সিঁদুর লাগানো ছিল। তসলিমা তার টুইটে লেখেন, পাথরটি যেখানে ছিল, সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল। তাতেই বেজায় চটে গিয়েছিলেন বিতর্কিত এই লেখিকা।
তসলিমার দাবি, যদি মন্দির হতে দেওয়া না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ‘মসজিদও ভেঙ্গে ফেলা উচিত’। বিমানবন্দরের মসজিদটি বিমান চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধক উল্লেখ করে এই মসজিদটি সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন তসলিমা নাসরিন।
মূলত এই বিষয়টির সূত্রপাত কোলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে থেকে দেবতাস্বরূপ সিঁদুর লাগানো পাথর সরিয়ে ফেলা নিয়েই। কিছুদিন পূর্বে একাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরে একটি গাছের নিচে পাথরে সিঁদুর লাগিয়ে সেখানে পূজার্চনা শুরু হয়। অনেকেই যার তীব্র প্রতিবাদ করেন। পুলিশ পরে ওই পাথরটি সরিয়ে নেয়।
ওই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই বিমানবন্দরের রানওয়ের মাঝে থাকা মসজিদটি সরিয়ে ফেলার দাবি তুলেছেন তসলিমা নাসরিন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দুপুরের দিকে করা টুইটে লেখিকা লেখেন, `কিছু মানুষ কয়েকটি পাথরের টুকরোর মধ্যে সিঁদুর মাখিয়ে তা একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনের গাছের তলায় রেখে দিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে একটা মন্দির নির্মাণ করা। পুলিশ সেই পাথরের টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলেছে। কোলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ের মাঝে যে মসজিদ রয়েছে পুলিশের সেটাও সরিয়ে দেওয়া উচিত। ওই মসজিদের কারণে বিমান উড়তে এবং অবতরণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়।`
রানওয়ের মাঝে মসজিদ থাকার কারণে আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন এই বিতর্কিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।