দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে হয়ত খাবার খেতে গিয়ে বুঝতে পারছেন আপনার মুখের কোথাও অতিরিক্ত ঝাল অনুভব হচ্ছে অথবা ঘুম থেকে উঠেই বুঝতে পারছেন আপনার মুখের মধ্যে কোথাও বেশ ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। ভাল করে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলেন আপনার মুখে ঘা হয়েছে। সাধারণত মুখের মধ্যে একটি ছোট ফোট জাতীয় কিছু বের হয়। তারপর সেই ফোট সাদা বর্ণ হয়ে ঘায়ে পরিণত হয়।
এই সময় মুখে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়। তবে বেশিরভাগ ঘা ৫-৭ দিনের মধ্যেই ভাল হয়ে গেলেও মাঝে মাঝে কিছু ঘা সারতে অনেকদিন সময় লাগে। তার মধ্যে দুই ঠোটের কোণায় এক ধরনের ঘা ঠিক মত চিকিৎসা না করালে ভাল হতে বেশ অনেক দিন সময় লাগে। আজ আমরা মুখে ঘা প্রতিকারের বেশ কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়ে আলোচনা করব।
১। অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ
অ্যালোভেরা জেল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান মুখের ক্ষত স্থানকে খুব দ্রুত ভাল করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরা জেল মুখের ক্ষত স্থানে বেশ কয়েকবার লাগালে খুব দ্রুত ঘা ভাল হয়ে যায়।
২। তুলসি পাতার পানিঃ
কয়েকটি তুলসি পাতা হালকা গরম পানিতে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর সেই পাতা সহ পানিটুকো পান করে নিন। দুই থেকে তিনদিন এভাবে কয়েকবার পান করুন ঘা ভাল হয়ে যাবে।
৩। যষ্টিমধুঃ
মুখের ঘা ভাল করতে যষ্টিমধুর বেশ সুনাম রয়েছে। যষ্টি মধু গুড়া করে এক টেবিল চামচ যষ্টি মধু দুই কাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার কুলি করুন। তাহলে মুখের ঘা ভাল হয়ে যাবে।
৪। লবঙ্গ মিশ্রিত লবণ-পানি দিয়ে কুলিঃ
লবঙ্গ মিশ্রিত লবণ-পানি দিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার কুলকুচি করতে পারেন। এই পানি মুখের জীবাণুগুলোর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ফলে দ্রুত ঘা ভাল হয়ে যায়।
৫। টি ব্যাগের ব্যবহারঃ
একটি টি ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে মুখের যে অংশে ঘা দেখা দিয়েছে সেই অংশে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এভাবে দিনে কয়েকবার করলে ঘা ভাল হয়ে যাবে।
৬। মধু এবং নারিকেলের দুধঃ
এক টেবিল চামচ নারিকেলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে মুখের ক্ষত স্থানে দিনে কয়েকবার লাগালে ঘা ভাল হয়ে যাবে।