দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালের সেরা সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। এই সবজি শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই আবার ফুলকপি প্রথম কিছুদিন খেলেও তারপর আর খেতে চায় না। তবে আজ যখন জানবো ফুলকপির নানা পুষ্টিগুণ, তারপর হয়ত নিয়মিত খাওয়া শুরু করতে পারি।
ফুলকপিতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটকেমিকেল
১। কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখেঃ
কোলস্টেরলের মাত্রার তারতম্যের কারণে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২। হজমে সাহায্য করেঃ
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার এবং ফাইবার আমাদের গ্রহণকৃত খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শরীরের রেচন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
৩। ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধকঃ
নানা কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মত জটিল সমস্যা। শীতকালে নিয়মিত ফুলকপি খেলে এই ক্যান্সার এবং টিউমার জনিত সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। ফুলকপিতে রয়েছে সালফোরাফেন যা ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করে দেয় এবং নানা ধররণের টিউমারের বৃদ্ধি স্থগিত করে দেয়।
৪। রোগ প্রতিরোধক সেল বৃদ্ধিঃ
ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’ জাতীয় নানা ভিটামিন যা শীতকালিন সময়ের সর্দি, কাশি জ্বর জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
৫। শারীরিক দহন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণঃ
সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখতে শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন হওয়া জরুরি। তবে দহনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি কমে গেলেও ক্ষতিকর। শরীরের এই দহন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হলে ক্যান্সারের মত প্রাণঘাতি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’ যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখেঃ
হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে হলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে হবে। আর রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায়। ফলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।
৭। হাড় এবং দাঁতের শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
ফুলকপি খেলে দাঁতের এবং হাড়ের জোর বাড়ে। অর্থাৎ, দাঁত এবং হাড় আরও বেশি শক্তিশালী হয়।
তাহলে আজ থেকে খাবার তালিকায় নতুন করে যোগ করুন ফুলকপি এবং সুস্থ-সবল জীবন গড়ুন।