দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক রাত হয়েছে কিন্তু শিশু ঘুমোচ্ছে না। এমন সমস্যার সম্মুক্ষিন প্রায় প্রতিটি বাবা-মাকেই হতে হয়। শিশু না ঘুমালে বাবা-মা ও ঘুমাতে পারে না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সমস্যাটি কতটা জটিল। আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে দ্রুত শিশুকে ঘুম আসানো যায়।
১। ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুনঃ
শিশুদের ঘুম পাড়ানোর আসল উপায় হচ্ছে প্রথমেই ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। ঘুমের সঠিক পরিবেশ না পেলে শিশুরা ঘুমাতে পারবে না। যে ঘরে শিশুকে ঘুম পাড়াবেন সেই ঘরে অধিক আলো থাকলে শিশুরা ঘুমাতে চাই না। তাই সামান্য আলোর ব্যবস্থা করুন। তবে একেবারে অন্ধকার ঘরে শিশুরা ভয় পেতে পারে। সুতরাং হালকা আলোর ব্যবস্থা করুন।
২। নির্দিষ্ট সময়ঃ
শিশুর ঘুমের জন্য দিনে এবং রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। প্রতিদিন সেই সময়ে ঘুম পাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। আপনার যত কাজই থাকুক না কেন নির্দিষ্ট সময়ে শিশুর ঘুমের ব্যবস্থা করুন। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুম পাড়াতে চাইলে শিশু ঘুম আসবে না।
৩। নিরব পরিবেশঃ
শিশুর ঘুমের জন্য প্রয়োজন নিরব পরিবেশ। তাই শিশুর ঘুমানোর রুমের আশেপাশে কোনভাবেই হৈচৈ করা বা উচ্চ শব্দে গান শোনা যাবে না। এতে শিশুর ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
৪। ঘুম পাড়াতে গান বা গল্পের আশ্রয় নিনঃ
প্রাচীন কাল থেকেই গান এবং গল্প বলে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর কৌশল প্রচলিত। শিশুরা গান বা গল্প শুনতে শুনতে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করে। তাই শিশুদের ঘুম পাড়াতে আপনাকে গান বা গল্প বলতে হবে। এতে শিশুদের মস্তিষ্ক শান্ত হয়ে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে যায়।
৫। মোবাইল ফোন দুরে রাখুনঃ
শিশুকে ঘুম পাড়াতে হলে আপনার মোবাইল ফোন বিছানা থেকে দুরে রাখুন। অনেক বাবা মা সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর সময় মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পরেন এটা কখনোই করবেন না। এমনকি ঘুম পাড়ানোর জন্য শিশুদেরকেও মোবাইল ফোন দিবেন না। ঘুমের আগে গেম খেললে বা ভিডিও দেখলে শিশুদের মস্তিষ্ক উদ্দিপ্ত হয়ে যায়। ফলে তারা দ্রুত ঘুমায় না।
৬। প্রিয় বস্তু কাছে দিতে পারেনঃ
শিশুকে তো নির্দিষ্ট সময় ঘুম পাড়াতেই হবে, সঙ্গে ঘুমানোর সময় যদি তার হাতের কাছে প্রিয় কোনো খেলনা বা বস্তু দেন, তার সংস্পর্শে এসে শিশু ঘুমোয় অনেক তাড়াতাড়ি। মনোবিদদের মতে, শিশু ঘুমানোর সময় পছন্দের বস্তু পেলে তার গন্ধে, স্পর্শে শিশুর মস্তিষ্কে চাপমুক্তির হরমোন ক্ষরণ করে, শিশু দ্রুত ঘুমোয়।
৭। ক্ষুধা লেগে আছে কি না নিশ্চিত হোনঃ
ক্ষুধা লেগে থাকলে সহজে ঘুম আসে না তাই শিশুকে ঘুমানোর আগে প্রয়োজন হলে খাওয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পর শিশুরা দ্রুত ঘুমিয়ে যায়।
৮। দোলনার ব্যবহারঃ
শিশুরা দোল খেতে খেতে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করে। তাই দোলনাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন। বর্তমানে বাজারে অটোমেটিক দোলনা পাওয়া যায়। ফলে আপনাকে বার বার দোল দিতে হবে না।