দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই আছি যেকোন সাধারণ বিষয় নিয়ে সকাল সকাল মেজাজ গরম করে ফেলি। কখনো কি হিসাব করে দেখেছেন, যেদিন সকালে আপনার মেজাজ গরম করলেন, সেই দিনটাই আপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে? নিশ্চয় অত হিসাব করার মত সময় আপনার নেই। তবে ওই দিনটা আপনার নানা ঝামেলার মধ্য দিয়েই অতিক্রম হয়েছে। এর জন্য অন্য কেউ নয় আপনি নিজেই দায়ী। হয়ত ভাবছেন কিভাবে?
ধরুন আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কোন একটি ছোট বিষয় নিয়ে মেজাজ গরম করে ফেললেন। রাগে ইচ্ছে মত নানা কথা শুনিয়ে দিলেন পরিবারের অন্যদের। মেজাজ গরম থাকায় অফিসের জন্য রেডি হতে দেরি হয়ে গেল। তাই নাস্তা না করেই বের হয়ে পরলেন। শুরু হয়ে গেল শারীরিক ক্ষতি, কারণ সময় মত নাস্তা না করায় শরীর পর্যাপ্ত ক্যালরী যোগান দিতে ব্যর্থ হবে।
রাগে বাসার কাওকে কিছু না বলে বের হয়েছেন। তাই ওইদিকে আপনার প্রিয়জন সারাদিন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকবে। দেরি করে অফিসে আসার কারণে বসের কাছে নানা কথা শুনতে হল। তাই মেজাজ গেল আরো গরম হয়ে। এখন হয়ত কাজ শুরু করবেন, ডেস্কে বসে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখা লকার খুলতে গিয়ে দেখছেন লকারের চাবি ভুলে বাসায় রেখে চলে এসেছেন। এখন মেজাজ গেল আরো গরম হয়ে। কোনভাবে হয়ত অফিসে সংরক্ষিত চাবি দিয়ে লকার খুলে কাজ শুরু করলেন।
আপনাকে আজ হয়ত একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে যা খুব একটা সময় লাগার কথা না। কিন্তু মেজাজ গরম থাকায় আপনার সেই কাজ করতে অধিক সময় লেগে গেল। কারণ স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ গরম থাকলে কোন কাজ দ্রুত করা যায় না আবার দুশ্চিন্তা গ্রস্থ থাকলেও দ্রুত কাজ করা যায় না। আবার কাজ শেষ হলেও সেই রিপোর্টে থেকে গেল নানা ভুল। এখন আপনি ভুল রিপোর্ট দাখিল করায় আবারো পরলেন ঝামেলায়। তাই সব ঠিক করে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেল। বাসায় ফিরে দেখেলেন আপনার প্রিয়জনের মন খারাপ। তাই আপনার সাথে কথা বলছে না। ফলে একা একাই রাতের খাবার সেরে ঘুমানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু ঘুম আসছে না।
এখন একটু চিন্তা করে দেখুন তো আজ সারাটা দিন যেভাবে কাটলো তার মূল কারণ কি? প্রতিটি ঝামেলার পেছনে লক্ষ্য করুন আপনার সেই সকাল সকাল মেজাজ গরম হওয়ার কারণেই এভাবে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সকালে যত সমস্যায় সৃষ্টি হক না কেন কোনভাবেই মেজাজ গরম করবেন না। সারাটা দিন ভালভাবে কাটাতে হলে আপনাকে সকালবেলা মন মেজাজ ফুরফুরে রাখতে হবে। প্রিয়জনদের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় প্রিয়জনদের সাথে কুশল বিনিময় করুন। তাই আজ থেকে মেজাজ গরম নয় মেজাজ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তবেই সব কাজ ঠিকঠাক মত করুন