দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সাদা কাগজে বলপেন দিয়ে লেখার পর যেমন তা মুছে ফেলা যায় না, তেমনি শৈশবে একটি শিশু যা শিখবে তা সারা জীবন তার চরিত্রের মধ্যে বজায় থাকবে। তাই প্রতিটি বাবা-মা এবং কাছের মানুষদের উচিৎ আমাদের সন্তানদের শিশুকাল থেকেই কিছু ভাল আচরণ শেখানো। আজ আমরা এমনি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
১। কারোর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনার শিশুকে এক্সকিউজমি বলতে শেখান। এর ফলে আপনার শিশু নম্র ভাবে কথা বলা অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে।
২। কেউ তাকে উপকার করলে উপকারকারিকে ধন্যবাদ বা থ্যাঙ্ক ইউ বলতে শেখান। এভাবে উপকারকারিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস সৃষ্টি হবে।
৩। কারোর কাছে কোন কাজে সাহায্য চাইতে হলে প্লিজ বলতে শেখান। এই অভ্যাস আপনার সন্তানকে বিনয়ী করে তুলবে।
৪। দুই বা ততধিক ব্যক্তি যখন কথা বলে, তখন তাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন হলে কিভাবে অনুমতি নিতে হবে সেই কৌশল শিক্ষা দিন।
৫। আপনার সন্তানের দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা কেউ কষ্ট পেলে তাকে আপনার সন্তান কিভাবে সরি বলবে বা ক্ষমা চাইবে সেই অভ্যাস তৈরি করুন।
৬। আপনার সন্তানকে শেখাবেন কারোর শারীরিক গঠন এবং চেহারা নিয়ে কোন বাজে মন্তব্য করা উচিৎ নয়।
৭। কাওকে ভাল কাজ করতে দেখলে তার প্রশংসা করতে হয়, এই বিষয়েও তাকে শেখাবেন। এর ফলে আপনার সন্তানের মনে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হবে।
৮। আপনার সন্তানকে শেখাবেন কাওকে প্রশ্ন করার সময় তার কাছে আগে অনুমতি নিতে হবে।
৯। হাঁচি বা কাশির সময় মুখে রুমাল দিতে শেখান এবং অন্যের সামনে দাঁত ও নাক খোঁচানো থেকে বিরত থাকতে শেখান।
১০। কারো বাসায় প্রবেশের সময় নির্দিষ্ট স্থানে জুতা খুলে বাসায় প্রবেশ করতে শেখান।
১১। কারো রুমে প্রবেশের সময় রুমের মধ্যে যে থাকবে বাইরে থেকে আগে তার কাছে অনুমতি চাইতে শেখান।
১২। পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে আপনার সন্তানকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার অভ্যাস তৈরি করুন।
১৩। কারোর সাথে দেখা হলে প্রথমে সালাম বিনিময় করতে শেখান।
১৪। জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথ বাক্য পাঠ করার সময় বিনয়ের সাথে দাড়ানোর অভ্যাস তৈরি করতে শেখান।
১৫। নিজের প্রতি পূর্ণ আস্থা সৃষ্টি করতে শেখান।
এই অভ্যাসগুলো আপনার সন্তানের জীবনে এক অতুলনীয় পরিবর্তন সৃষ্টি করবে। সেই সাথে তাকে একজন সুন্দর এবং বিনয়ী চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলবে।