দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ৫ মাঘ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
মাশহাদের গওহারশাদ মসজিদটি টাইলস ও লতাপাতার কারুকাজের জন্য বিখ্যাত। ইরানের এই মসজিদটি ইসলামী স্থাপত্যকলার ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে।
এই মসজিদ এবং তার চমৎকার স্থাপত্য সমকালের একনিষ্ঠ বর্ণনাকারী। এই সুন্দর নির্মাণরীতি থেকেই অনুমান করা যায় মুসলমান জাতি কতোটা সৌন্দর্যপ্রিয়।
‘মাশহাদ’ হলো আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো শাহাদাত বরণ করার স্থান। যেহেতু এখানে ইমাম রেযা শাহাদাত বরণ করেছেন ও তাঁর মাযারও এখানে অবস্থিত তাই এই শহরটির নাম মাশহাদ।
১৩৩৩ সালে ইবনে বতুতা এই শহর ভ্রমণ করেন। তিনি মাশহাদকে ফুল-ফল-বৃক্ষ ও নানা রঙের টাইলসে সমৃদ্ধ মাযারের শহর হিসেবে আখ্যা দেন। পরবর্তী সময় ১৪১৮ সালে তৈমুরীয় শাসক শাহরুখ মির্যার স্ত্রী গওহারশদ ইমাম রেযা (আ.)-এর মাযারের পাশেই একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণ করেন। যা গওহারশাদ মসজিদ নামে অভিহিত।
এই গওহারশদ মসজিদটি টাইলসের কাজ, লতাপাতার কারুকাজ ও সুন্দর নকশার জন্য বিখ্যাত। এই মসজিদের ভেতরে যেসব কারুকাজ করা হয়েছে সেগুলোকে তৈমুরী আমলের অনন্য কাজের নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।
চার বারান্দা বিশিষ্ট এই মসজিদটি পুরোটাই ইরানী স্টাইলে নির্মিত। শাহরুখ তিমুরীর স্ত্রী গওহারশদ খাতুনের নির্দেশে ১৪১৮ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ইরানের বিখ্যাত স্থপতি কাওয়াম উদ্দিন শিরাযির তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় এই মসজিদটি। এই ভদ্রমহিলার আদেশেই এই মসজিদটির মতোই আরো একটি মসজিদ নির্মিত হয় আফগানিস্তানের হেরাতে। জানা যায় সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।
তথ্য: http://parstoday.com এর সৌজন্যে।