দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের রাজকুমারী উবলরত্না রাজকন্যা সিরিবধনার প্রধানমন্ত্রী হওয়া হলো না। গতকাল (সোমবার) দেশটির নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে।
থাইল্যান্ডের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, গতকাল (সোমবার) নির্বাচন কমিশন থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে। এতে রাজকুমারী উবলরত্নার নাম নেই। উবলরত্না থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা প্রিন্স মাহা ওয়াজিরালংকর্ণের বোন।
থাই নির্বাচন কমিশনের এক তথ্যে বলা হয়েছে, দেশটির ঐতিহ্য অনুযায়ী- রাজপরিবারের সদস্যরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। একই সঙ্গে রাজপরিবারের সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক পদেও থাকতে পারেন না।
থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ‘থাই রাকসা চার্ট পার্টি’র সমর্থন নিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়তে চেয়েছিলেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারী উবলরত্না। গত শুক্রবার ওই দলের পক্ষ হতে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এটি থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবার ঘটলো।
এই ঘটনার পর এক বার্তায় থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ রাজকুমারীর প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে নামার এই চেষ্টাকে ‘অনুচিত’ ও অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
অপরদিকে রাজকুমারীকে মনোনয়ন দিয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক দল থাই রাকসা চার্ট পার্টি। এখন শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটিই দেখার বিষয়।