দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী মিতা নূরের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা থেকে সরে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), খবর অনলাইন সূত্রের।
মিতা নূরের মৃত্যুর পর তাদের পরিবারে ঘটে যাওয়া অনেক তথ্য উদঘাটন করে ডিবি। ঘটনার পর থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম মিতা নূরের মৃত্যু সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য-প্রমাণও সংগ্রহ করে। এরপরও ডিবি পুলিশ মিতা নূরের মৃত্যু রহস্য তদন্ত থেকে সরে এসেছে। খবর দৈনিক যুগান্তরের।
ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে ডিবির কাজ হচ্ছে এর নেপথ্যে চলে যাওয়া। আর এজন্য কতগুলো কৌশল অবলম্বন করতে হয়। আর মিতা নূরের আত্মহত্যার ঘটনার পর যখন বাইরে শোনা যাচ্ছিল রহস্য আছে তখনই আমরা সব ধরনের কৌশল প্রয়োগ করে কিছু তথ্য পাই।’
উপ-কমিশনার বলেন, প্রাপ্ত তথ্যগুলো তদন্তের জন্য সহায়ক ছিল। কিন্তু মৃত্যুর রহস্য যতই থাক না কেন এটি অপমৃত্যুর মামলা। আর পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ বা আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়নি। মামলা হলেই ক্লু বের করা হতো। ডিবির উপ-কমিশনার নাজমুল আলম বলেন, ‘আইনের ওপরে কেও নয়। কিন্তু আইন লংঘন করে কোনো কিছু করা যায় না। যেহেতু এটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়নি- সেহেতু ডিবি পুলিশের আর তদন্তের কোনো প্রয়োজন নেই। এখন থানা পুলিশই বিষয়টি দেখবে।’
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবির ওই পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি ভিসেরা প্রতিবেদনে কি আসে। প্রতিবেদন পেলে আমাদের তদন্ত দল ভিসেরার তথ্য অনুযায়ী পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে নতুন করে বলার আর কিছুই নেই। এটা আত্মহত্যার ঘটনা।’
মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘তার কোনো অভিযোগ নেই। অথচ তার সঙ্গে কথা না বলেও অনেকে অভিযোগের সুরে লিখে যাচ্ছেন।’ মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান মজুমদার ওরফে রানা জানায়, ‘আমাদের পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ নেই। আমরা শোকাহত। অথচ কেও কেও বাড়িয়ে লিখছে।’ তদন্ত সূত্র জানায়, মিতা নূরের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের পর কিছু বিষয়ে উভয় পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইতিমধ্যে পাওয়া তথ্যগুলো অপমৃত্যু মামলার নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ির ৬ তলার ৫/বি নিজ ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষ থেকে ১ জুলাই টিভি অভিনেত্রী মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান মজুমদার ওরফে রানাকে। মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান, মা মরিয়ম সরকার ও স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা ধরনের মৃত্যু রহস্য নিয়ে খবর বের হতে থাকে।