দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শহুরে সভ্যতার নিউ এডিশন হলো ট্র্যাফিক জ্যাম। এই যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়নি এমন মানুষ ঢাকা শহরে নেই বললে একেবারে ভুল হবে না। ওই ট্রাফিক জ্যামকে নিয়েই নতুন চিন্তার নাটক ‘বিমূর্ত চিন্তা’।
শহুরে সভ্যতার নিউ এডিশন হলো ট্র্যাফিক জ্যাম। এই যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়নি এমন মানুষ ঢাকা শহরে নেই বললে একেবারে ভুল হবে না। ওই ট্রাফিক জ্যামকে নিয়েই নতুন চিন্তার নাটক ‘বিমূর্ত চিন্তা’।
প্রায় সময়ই এমন অসহনীয় জ্যাম জটের যন্ত্রণা হতে মুক্তি পেতে যদি এমন কোনো জুতো আবিষ্কার করা যায়, যে জুতো পড়লে মানুষ উড়তে পারবে, বলুন তাহলে কেমন হতো? ব্যাপারটা কল্পনা করে পাঠকরা নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? তবে অবাক হবার কিছু নেই, এমনই একটি বিষয়কে কেন্দ্র নির্মাণ করা হলো ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নামে ৬ পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক।
‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মৃত্তিক মিরাজ। ব্যতিক্রমী এই নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এম এ আউয়াল।
‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানভীর ও নাদীয়া নদী। এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন কাজী উজ্জল, এলিনা শাম্মী, শামীম আহমেদ, ম্যাক তামিম, পাপড়ি, নন্দিত আনিস, রনো, মোল্ড-১ সাগর, মোল্ড-২ আরিয়ান, মি. মিতায়ানসহ আরও অনেকেই। আগামী ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এই নাটকটি প্রচারিত হবে।
‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন মোস্তাক মোরশেদ, প্রধান সহকারী পরিচালক ইয়াসিন সুমন, সহকারী পরিচালক সুজন।
নাটকের গল্প সম্পর্কে পরিচালক মৃত্তিক মিরাজ জানিয়েছেন, ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে ট্র্যাফিক জ্যাম হতে মুক্তি পেতে বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারকে কেন্দ্র করেই। যন্ত্রকৌশলের মেধাবী ছাত্র দারায়াত “ফ্লাইং সু” নামক একটি উড়ন্ত বাহন আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে নিজ বন্ধুদের মধ্যে নানা ষড়যন্ত্র। নাটকের এক পর্যায়ে দারায়াত নিখোঁজও হয়। অপরদিকে নায়িকা ফায়রুজ দারায়াতকে হারানোর শোকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আকান্ত হয়ে পড়ে।
পরিচালক আরও জানান, একটি মজার বিষয় হলো,“ফ্লাইং সু” আবিষ্কারের থ্রীডি নকশা দারায়াত কোথায় রেখে যায় তা কেওই খুঁজে পায়না। দারায়াত জীবিত না মৃত ও “ফ্লাইং সু”র নকশা নিয়ে সৃষ্ট রহস্যেকে কেন্দ্র করেই নাটকটির গল্প সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আশাকরি দর্শকরাও নাটকটি দেখে বেশ আনন্দ পাবেন।