দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবৈধ পথে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে নিহতদের মধ্যে গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত ২৭ জনই বাংলাদেশী। এই মৃতদেহগুলি চিহ্নিতও করা গেছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার সাইয়্যেদা আবিদা ফারহীন এই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুয়ারা হতে অবৈধভাবে নৌপথে ৮৫ হতে ৯০ জন আরোহী নৌকাযোগে ইতালিতে যাত্রা করে। ভোর রাতে তিউনিসিয়া উপকূলে অপর একটি ছোট নৌকায় তাদের ওঠানোর সময় যাত্রীর ভারে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। যার মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশী ছিলো বলে ধারণা করা হয়। নৌকা ডুবির পর ৪ জন বাংলাদেশী তিউনিসিয়ার জারজিস শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে ওই ৪ জন উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার সাইয়্যেদা আবিদা ফারহীন।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম মোমেন জানিয়েছিলেন যে, মৃতদের মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা ৩০ হতে ৩৫ জন হতে পারে।
যারা এই দুর্ঘটনা হতে বেঁচে ফিরেছেন তারা জানিয়েছেন যে, ওই নৌকায় ৩২ জন মিশরীয় নাগরিক ছিলেন। তবে তারা বেঁচে আছেন কিনা তাও জানা যায়নি। নৌকায় যে আরোহীরা ছিলেন তার মধ্যে শনাক্ত করা ২৭ জনের অধিকাংশেরই গ্রামের বাড়ি সিলেট, মাদারীপুর এবং নোয়াখালী জেলায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিউনিশিয়ায় বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় তথ্য পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তথ্য পেতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস হতে একজন কর্মকর্তাকে তিউনিশিয়ায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।