দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে বিপদের মুখে পড়েছে চীনা টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের মোবাইল ফোনের বিক্রি কমে গেছে ৪০ শতাংশ; সে কারণে তারা তাদের উৎপাদনও কমিয়ে দিচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই তার প্রতিষ্ঠানকে তুলনা করেছেন একটি খারাপ হয়ে যাওয়া বিমানের সঙ্গে। তিনি বলেছেন যে, মার্কিন সরকার যে হুয়াওয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে এতো কঠোর পদক্ষেপ নেবে তা তারা আন্দাজও করতে পারেননি।
বর্তমানে হুয়াওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে বিশ্বে তাদের স্থান হলো দ্বিতীয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে যে, কোনো আমেরিকান কোম্পানি বা আমেরিকান প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন কোনো কোম্পানির জন্য হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা নিষিদ্ধ।
এমন কঠোর আইনের কারণে গত এক মাসে হুয়াওয়ের মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি ৪০ শতাংশ কমে গেছে। রেন ঝেংফেই বলেছেন, তারা তাদের উৎপাদন ৩ হাজার কোটি ডলার কমিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি হয় স্যামসাংয়ের। তারপরেই রয়েছে হুয়াওয়ে ও অ্যাপলের আইফোন হলো তৃতীয় স্থানে। পৃথিবীর সব মহাদেশেই তাদের বাজার বিকশিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দেখাচ্ছে যে, হুয়াওয়ে কোম্পানির যন্ত্রপাতিকে চীন কর্তৃপক্ষ নজরদারির জন্য ব্যবহার করতে পারে, যদিও হুয়াওয়ে এমন কোনো আশংকার কথা বার বার অস্বীকার করে আসছে।
তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জের ধরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানি হুয়াওয়ের ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহারও নিষিদ্ধ করেছে। গুগল ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তাদের কিছু অ্যাপের আপডেট হুয়াওয়ে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাবে না। অপরদিকে জাপানের দুটি কোম্পানি বলেছে যে, তারা হুয়াওয়ের হ্যান্ডসেট বিক্রিই করবে না।
এদিকে হুয়াওয়ে অবশ্য বলছে যে, চীনের বাজারে তাদের বিক্রি অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং ২০২১ সাল নাগাদ তাদের ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হবে। তাছাড়া তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের বাজেটে কোনো রকম কাটছাঁটও করা হচ্ছে না।