দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পরও কথার লড়াই থেমে নেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে। এবার মোদিকে ফ্যাসিবাদি, বর্ণবাদী বললেন ইমরান খান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পরও কথার লড়াই থেমে নেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে। এবার মোদিকে ফ্যাসিবাদি, বর্ণবাদী বললেন ইমরান খান।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুচ্ছ টুইটে মোদিকে ফ্যাসিবাদি আর বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন। ইমরানের দাবি হলো, বিজেপি সরকারের হাতে ভারতের পরমাণু অস্ত্র মোটেই সুরক্ষিত নয়। এই বিষয়ে সারা বিশ্বকে নজর দেওয়া দরকার।
এদিকে পাক সীমান্তে দুই বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৪ দিন ধরেই থমথমে পরিস্থিতি পুরো কাশ্মীর এলাকা জুড়ে। পথে পথে চলছে সেনা টহল। বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুই সপ্তাহে রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষকসহ অন্তত ৪ হাজার মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। নিরাপত্তার কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই গত কয়েকদিনে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী শ্রীনগরসহ বেশ কয়েকটি শহরে।
কারফিউর মধ্যেই গতকাল (১৯ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি দপ্তরসমূহ। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই নেই।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি হলো, দু’সপ্তাহ পর সোমবার খুলে দেওয়া হয় শ্রীনগরের সরকারি প্রতিষ্ঠান। উপত্যকার ৯শ’ স্কুলের মধ্যে ১৯৬টি সচল হয়েছে। শিক্ষকরা যোগ দিলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিত একেবারেই ছিল না বললেই চলে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাশ্মিরীরা জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। সড়কে গাড়িও নেই। কেও স্বাধীনমতো চলাচল করতেও পারছে না। যেনো থমকে রয়েছে কাশ্মীর।
কাশ্মিরীরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করছে মোদি সরকার। পর্যাপ্ত খাবার নেই, ওষুধ নেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো দ্রব্য সামগ্রীও নেই। কারও সঙ্গেই যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারছি না। এমনকি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়েরও কোনো উপায় নেই।’
যদিও প্রশাসন বলছে ভীন্ন কথা। তারা বলছে, ধীরে ধীরে ল্যান্ড লাইন চালু করে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পরই চালু করা হবে ইন্টারনেট।
জম্মু কাশ্মীরের পরিকল্পনা কমিশনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রোহিত কানসাল বলেছেন, ‘কাশ্মীরের জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। চলাচলের উপর বাধা নিষেধ অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। শীঘ্রই পুরো এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ল্যান্ডলাইন পুরোপুরিভাবে চালু করা হবে।’