দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নকল প্রতিরোধ করার দায়িত্ব থাকে শিক্ষকের উপর সেটি আমাদের সকলের জানা। কিন্তু তাই বলে একজন শিক্ষক নকল প্রতিরোধ করতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন!
নকল প্রতিরোধ করার দায়িত্ব থাকে শিক্ষকের উপর সেটি আমাদের সকলের জানা। কিন্তু তাই বলে একজন শিক্ষক নকল প্রতিরোধ করতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন!
সত্যিই তাই নকল ঠেকাতে অভিনব উপায়ে পরীক্ষা নেওয়া হলো শিক্ষার্থীদের। এতে ওই শিক্ষক যেমন পেয়েছেন প্রশংসা ঠিক তেমনি সমালোচিতও হয়েছেন। এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন এক মেক্সিকান শিক্ষক। মেক্সিকোর ল্যাক্সকালা প্রদেশের কলেজ অব ব্যাচেলরসে পরীক্ষায় পাশে বসা সহপাঠীদের উত্তরপত্র দেখে লেখা এবং নকল ঠেকাতে পরীক্ষার্থীদের মাথায় শক্ত কাগজের বক্সে ঢেকে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
এমন একটি কাণ্ড ঘটানো ওই শিক্ষকের নাম লুইস হুয়ারেজ টেক্সিস। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণের কারণে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে ছাত্রদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও। অভিভাবকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ছবি শেয়ার করে তাকে বরখাস্তের আবেদন জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষা দপ্তর বরাবর।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে লুইস হুয়ারেজ টেক্সিসের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজের কর্মকাণ্ডের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন বলে জানা যায়। পরীক্ষার হলে ছাত্রদের মাথা বক্স দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে অনলাইন মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় যে, পরীক্ষার হলে শক্ত কাগজের বক্স দিয়ে মাথা ঢেকে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরকে। দেখার জন্য চোখ বরাবর রাখা হয়েছে দুটি ছিদ্র।
এই ঘটনাটি শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই নয়, দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। তবে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ ওই শিক্ষকের প্রশংসাও করেছেন। তাদের মতে, পরীক্ষার হলে অসদুপায় বন্ধে তার পদক্ষেপ ‘যথেষ্ট কার্যকর’ একটি পদক্ষেপ এতে দোষের কিছু নেই। শিক্ষার্থীরা অনৈতিক কাজ করে যাবেন আর শিক্ষকরা জাতির বিবেক হয়েও তা মুর্খের মতো নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে দেখে যাবেন এমনটি হতে পারে না। তাই তারা মনে করেন, এই শিক্ষক যে কাজটি করেছেন তা ঠিক ছিলো। শিক্ষার্থীদের বোঝা উচিত তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছেন- নকল করতে নয়।