দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আপনি কি ডাইট কোলা পান করেন? তবে এখনই সাবধান হতে হবে। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যেকোনো ডাইট কোলা মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া ডাইট কোলা কালারিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে। এসব কোমল পানীয়তে রয়েছে প্রচুর কৃত্রিম চিনি যা মানব শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ বিষয়ে আরও জানতে বিস্তারিত পড়ুন…
আধুনিক যুগে মানুষের মাঝে কোমল পানীয় অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, অনেকে ফ্যাশন হিসেবেও পান করেন। কিন্তু এসব পানীয়তে যে আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে তা আপনি অনেকটা না জেনেই পান করছেন। বর্তানে কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ নানান ভাবে তাঁদের মার্কেটিং প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আপনারা অনেকেই হয়ত শুনেছেন ডাইট কোকা কোলা ও ডাইট পেপসি নামে দুই ধরণের কোমল পানীয় বাজারে পাওয়াজায়। সম্প্রতি UNITED STATES DEPARTMENT OF HEALTH AND HUMAN SERVICES FOOD AND DRUG ADMINISTRATION নামে আমেরিকার ভোজ্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোকা কোলা ও পেপসি কে তাঁদের কোমল পানীয়তে কৃত্রিম রঙ মেশানোর বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
মূলত কোলা জাতীয় কোমল পানীয়তে যে হালকা লাল রঙ ব্যবহার করে তাকে কেরামেল কালার বলা হয় এ জনপ্রিয় কেরামেল কালার আনার জন্য যে ৪-মিথাইলিমাইদাজল ব্যবহার করা হয় তাতে মানুষের শরীরের জন্য ক্যানসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ইতোমধ্যে ক্যানাডিয়ান সরকার স্বাস্থ্য ঝুকির বিষয়টি মাথায় রেখে ৪-মিথাইলিমাইদাজল ব্যাবহার করা হয় এমন সব ধরণের কোমল পানীয় নিষিদ্ধ করেছে।
সম্প্রতি আরেক গবেষণায় দেখা গেছে কোলাতে যে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে তা শরীরে প্রবেশের ফলে তীব্র মাথা ব্যথা, দৃষ্টি শক্তিতে সমস্যা, শ্বাস কষ্ট, শরীরে মেদ বেড়ে যাওয়া, ব্রেইন টিউমার সহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি অতিরিক্ত কোক পানের ফলে দি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা নাতাশা হ্যারিসের মৃত্যুর খবর বিশ্বজুড়ে দারুন ভাবে তোলপাড় করেছে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী নাতাশা হ্যারিস। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক প্রায় ১০ লিটার কোকা কোলা পানের মধ্য দিয়ে তিনি যে পরিমাণ ক্যাফেইন ও চিনি গ্রহণ করতেন, তা সহনীয় মাত্রার দ্বিগুণ। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ইনভারকার্জিলের বাসিন্দা নাতাশা মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। নাতাশার পরিবার জানায়, তিনি প্রতিদিন কোক পানে আসক্ত হয়ে পড়েন। পছন্দের পানীয়টি গলাধঃকরণ করতে না পারলে অস্বস্তি বোধ করতেন। নাতাশা এত বেশি আসক্ত ছিলেন যে, কোক পান করতে করতে তার সব দাঁত ক্ষয়ে যায়। তবে নাতাশার মৃত্যুর পেছনে তাদের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় ব্র্যান্ড কোকা কোলা।
ডাইট কোলা যেসব কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করা হয় তার বিষয়ে সম্প্রতি এক আর্টিকেলে বিষদ বলা হয়। কোক ও পেপসিতে যেসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে, কার্বনেটেড পানি, ৪-মিথাইলিমাইদাজল থেকে তৈরি কেরামেল রং, পটাশিয়াম বেঞ্জয়েট ও ক্যাফিন।
এতোসব ক্ষতিকর উপাদান ব্যাবহারের পরেও বিলিয়ন ডলারের এ মাল্টি ইন্ড্রস্ট্রি তাঁদের বিপনন ব্যবস্থা দিয়ে পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি গ্রাহকে কখনো কোমল পানীয়র মোড়কে কখনো ডায়েট কোমল পানীয়তে মোহগ্রস্ত করে রেখেছে।