দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মারণব্যাধি করোনা ভাইরাস। চীনে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে মাত্র কয়েকদিনেই। আক্রান্ত আরও ৮০ হাজার। বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজেকে প্রস্তুত রাখুন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে এখনও এই রোগে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নিশ্চিন্তে থাকারও উপায় নেই। বরং এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত।
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হলে তা কোনোই উপকারে আসবে না। সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক যে বেশিরভাগ করোনা ভাইরাস কেস হালকা এবং ফ্লুর মতো দেখা দিয়ে থাকে। আবার আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে ফিরেছেন এই খবরটিও অবশ্য স্বস্তিদায়ক।
করোন ভাইরাস কন্টেন্টমেন্ট টিমে কর্মরত ঝাও জিয়ানপিং বলেছেন যে, এমন অল্প সংখ্যক রোগী রয়েছেন যাদের প্রথমবার পরীক্ষার পরে নেগেটিভ এলে পরে আবার পরীক্ষা করে পজেটিভও এসেছে।
যেসব রোগীর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান লক্ষণ ছাড়াই পরপর দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে তাদের করোনা ভাইরাসমুক্ত ঘোষণা করা হয়ে থাকে। তবে তাদের পুনরায় পরীক্ষা করতে বলা হয়, যা আবার পজেটিভও আসতে পারে।
তাহলে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার করণীয় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকেই নিজের সুরক্ষার জন্য নিচের স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে করতে হবে:
# কেও আক্রান্ত হলে তার থেকে অবশ্য দূরে থাকুন।
# হাত সব সময়ের জন্যই পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে বা খাওয়ার আগে ও পরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
# সবাইকে কফ, থুথু, সর্দি টিস্যুর সাহায্যে মুছতে বলুন এবং হাঁচি দেওয়ার সময় মুখের সামনে আড়াল রাখতে বলুন। আপনি নিজেও এই কাজ করুন।
# পরিবারের সবাইকে এই রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করুন।
# আপনি হয়তো ভ্রমণ পছন্দ করেন? তবুও এই সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে তা বাতিল করুন।
চীনের লকডাউনের আওতায় থাকা কয়েক মিলিয়ন মানুষ রয়েছে এবং সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। ঝাওর সাম্প্রতিক ওই বিবৃতি অনুসারে, ‘করোন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে কঠিন সময়টি হুবেই ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। তবে আমাদের আরও সজাগ থাকা দরকার, কারণ আমরা যদি বর্তমান ব্যবস্থাগুলো খুব বেশি শিথিল করি তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।’